উৎসব মুখর পরিবেশে যশোর জেলা পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন চলাকালে মনিহার এলাকা ও সরকারি সিটি কলেজ ক্যাম্পাস শ্রমিকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। হাজার হাজার শ্রমিকের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে ওঠে এলাকাটি। শুক্রবার ভোট গ্রহণ শেষ হলেও গণনা শুরু হবে শনিবার সকাল থেকে। এবারের নির্বাচনে নয় হাজার একশ’ ৪৩ জন ভোটারের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন সাত হাজার ছয়শ’ ৪৪ জন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
শুক্রবার সকাল আটটা থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হয় ভোট গ্রহণ। চলে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত। কোনো কোনো প্রার্থী ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে নেন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। গরু প্রতীকের প্রার্থী জীবন্ত গরু নিয়ে হাজির হন ভোটের মাঠে। কয়েক ফুট উচ্চতার ডালরেঞ্জ আর সত্যিকার টেলিভিশনও সাজিয়ে রাখতে চোখে পড়ে এই দু’পদের প্রার্থীকে। বিশাল আকৃতির এক সিংহ বানিয়ে হাজির হন ওই প্রতীকের সমর্থকরা। প্রার্থীরা সত্যিকারের আনারস আর রিকশা জোগাড় করেছিলেন ভোটারদের মন জয় করতে।
সংগঠনের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে ১৭টি পদে ৬৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। যশোর-কোটচাঁদপুর, যশোর-নড়াইল, যশোর-খুলনা, যশোর-বেনাপোল, যশোর-কেশবপুর, যশোর-মণিরামপুর, যশোর-বাঘারপাড়া, যশোর-চৌগাছা, যশোর-মাগুরাসহ বেশ কয়েকটি রুটসহ মণিরামপুর, কেশবপুর, বাঘারপাড়া, শার্শা, অভয়নগর, চৌগাছা, ঝিকরগাছা ও সদর উপজেলার শ্রমিকরা জেলা পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
নির্বাচন কমিশন জানায়, যশোর সরকারি সিটি কলেজে ভোট গ্রহণের জন্য একশ’ ৯৮টি বুথ খোলা হয়। এসব বুথে দায়িত্ব পালন করেন একশ’ ৬০ জন কর্মকর্তা। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ইদ্রিস আলী। সদস্য সচিব ছিলেন শ্রমিকনেতা মাহাবুবুর রহমান মজনু। নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান অ্যাডভোকেট ইদ্রিস আলী ও সদস্য সচিব মাহাবুবুর রহমান মজনু জানান, সকাল সাড়ে আটটা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত। নয় হাজার একশ’ ৪৩ জন ভোটারের মধ্যে সাত হাজার ছয়শ’৪৪ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। তারা জানান, প্লাস্টিকের ব্যারেলে ভোট গ্রহণ করা হয়। ব্যালট ভর্তি এসব ব্যারেল কলেজের ভিআইপি কক্ষে সিলগালা করে রাখা হয়েছে। শনিবার সকাল আটটা থেকে শুরু হবে ভোট গণনা।
খুলনা গেজেট/ টি আই