যশোরে একটি ক্লিনিকসহ ছয়টি অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। শনিবার(২৭ মে) জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নাজমুস সাদিক রাসেলের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি টিম অভিযান চালিয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো বন্ধ করে দেন।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার অনিবন্ধিত ও নিবন্ধনের মেয়াদোত্তীর্ণ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এ সময় যশোর শহরের পিস হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নূরুল ইসলাম ডায়াগনস্টিক সেন্টার, রোটারি হেলথ অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সিএমসি ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং সেন্ট্রাল হাসপাতালের ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিবন্ধনের কাগজপত্র পায়নি স্বাস্থ্য বিভাগের টিম। সে কারণে তাদের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে নোটিশ দেয়া হয়েছে।
যশোর সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. রেহেনেওয়াজ বলেন, ডেপুটি সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানের সময় ছয়টি অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নাজমুস সাদিক রাসেল বলেন, শনিবার যশোরের ৩৫টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়েছি আমরা। এরমধ্যে ছয়টি প্রতিষ্ঠান কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। সে কারণে যতদিন পর্যন্ত তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে না পারবে, ততদিন পর্যন্ত কার্যক্রম বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, যশোর জেলায় ২৯১টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে ১১০টি। তবে কিছু অনিবন্ধিত ও আবার কিছুর নিবন্ধনের মেয়াদোত্তীর্ণ। এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল তারা।
গত বৃহস্পতিবার (২৬ মে) দেশের সব অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ সময়ের পর নিবন্ধনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই