যশোর ডিবি পুলিশ শহরের শংকরপুরে অভিযান চালিয়ে চুরি হওয়া সোনা ও রুপার ১৩ ভরি ২ আনা ওজনের অলংকারসহ ৬ চোরকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলো, শহরের বেজপাড়া আনসার ক্যাম্পের মুজিবর সরদারের ছেলে মানিক সরদার (২১), শংকরপুর বটতলা মসজিদ এলাকার তোতা মিয়ার ছেলে আজিম ইসলাম আকাশ (২২), শংকরপুর জমাদ্দারপাড়ার হাবিবুর রহমান ও রাজুর স্ত্রী হীরা বেগম (৩৫), শংকরপুর পশ্চিমপাড়ার শাহজাহানের ছেলে স্বাধীন ইসলাম (২২), শংকরপুর জমাদ্দারপাড়ার সাদেক আলীর মেয়ে শাহানারা বেগম (৬০) ও শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার মৃত ইসহাক মিয়ার ছেলে মাসুদুর রহমান বকুল (৫২)।
ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকার জানান, ডিবি পুলিশের এলআইসিটিমের কনসটেবল মেজবাহ থান্ডার ও ইয়াসিনের বুদ্ধিমত্তায় ১১ অক্টোবর বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত শংকরপুরসহ আশপাশ এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় পুলিশ চোরচক্রের দুই নারী সদস্যসহ ৬ জনকে আটক করে। এসময় তাদের স্বীকারোক্তিতে উদ্ধার হয় ৭ ভরি ৭ আনা সোনা ও ৫ ভরি ১১ আনা রুপার অলংকার।
আটক মানিক, বাপ্পি, শিপন ও শান্ত প্রাথমিক তদন্তে ও জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা পরস্পর যোগসাজসে যশোর শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন বাড়িতে কৌশলে প্রবেশ করে স্বর্ণালংকার ও মুল্যবান সম্পদ চুরি করে।
আটককৃতরা বেজপাড়া ও শংকরপুর এলাকার চোর হিসেবে পরিচিত। গত ২৭ জুলাই গভীররাতে যশোর আবরপুরস্থ পাওয়ার হাউজপাড়া মসজিদ গলির ফাহাদ ম্যানশন বাড়ির দোতলার পশ্চিম পাশের ইউনিটে বসবাসকারী ফাতিমা খাতুনের ফ্লাটে চুরি করে। আটককৃত চোরেরা ফাহিমা খাতুনের ঘরের ভেন্টি লেটার, দক্ষিন পার্শের জানালার গ্রীল ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। এরপর আলমারি থেকে ১৬ ভরি স্বর্ণলংকার ও নগদ টাকা চুরি করে সহযোগীদের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তি ও জুয়েলারির দোকানে বিক্রি করে ও বন্ধক রাখে। চুরির ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়। এরমধ্যে পুলিশ ১৩ ভরি সোনার ও রূপার অলংকার উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই