যশোরে পুলিশের নবগঠিত সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। হারিয়ে বা খোয়া যাওয়া মোবাইল, বিকাশে অন্যের নম্বরে ভুল করে চলে যাওয়া টাকা উদ্ধার থেকে শুরু করে ফেসবুকে হয়রাণির শিকার নারীরা প্রতিকার পাচ্ছেন।
শনিবার বিকেলে যশোর পুলিশ অফিস কনফারেন্স রুমে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে উদ্ধারকৃত ৩০টি হারানো মোবাইল ও বিকাশে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া নগদ ৬০ হাজার ১৫০ টাকা প্রকৃত মালিকের কাছে প্রদান করা হয়।এসময় উপস্থিত ছিলেন যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত সরকারসহ সেলের কর্মকর্তারা।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, দুইমাস আগে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজির নির্দেশনায় যশোরে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল গঠন করা হয়। একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তার তদারকিতে সেলটি পরিচালিত হচ্ছে। একজন ইন্সপেক্টর, দু’জন করে সাব ইন্সপেক্টর ও এএসআই এবং চারজন কনস্টেবল সমন্বয়ে গঠিত টিমটি সার্বক্ষণিক গ্রহিতাদের সেবা দিয়ে চলেছে। সেলটি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট, মন্তব্য, ছবি আপলোড, গুজব, বিকাশ প্রতরণাসহ সাইবার স্পেসে নারী হয়রাণিরোধে কাজ করছে।
সাইবার স্পেসে যদি কোনো নারী প্রতারণা বা হয়রাণির শিকার হন, তবে এই সেলে জানাতে পারবেন। এক্ষেত্রে অভিযোগকারীর নাম ও ঠিকানা সম্পূর্ণ গোপন রাখা হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সংগঠিত অপরাধের আইনি সহায়তা প্রদান ও এটি ব্যবহারে সর্বসাধারণকে আরও বেশি সচেতন করাই সেলের উদ্দেশ্য বলে কর্মকর্তারা জানান। একইসাথে অপরাধীকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে এসে সাইবার স্পেসে অপরাধ রোধে সহায়তা দিয়ে যাবে সেলটি।
কর্মকর্তারা আরও জানান, জেলার বিভিন্ন থানার মোবাইল হারানোর জিডির প্রেক্ষিতে গত দুই মাসে বিভিন্ন ব্রান্ডের ৩০টি হারানো মোবাইল উদ্ধার করেছে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল যশোর। এছাড়া বিকাশে লেনদেনের সময় ভুলবশত অন্যের নম্বরে পাঠানো ও প্রতারণার মাধ্যমে খোয়া যাওয়া ৬০ হাজার ১৫০ টাকা উদ্ধার করে ভূক্তভোগীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হয়রাণির শিকার চারজন ভুক্তভোগিকে আইনি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।