যশোর জিলা স্কুলের সহকারী শিক্ষক আবুল কাশেমকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে এক কিশোরকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। আটক সজিব কুমার বিশ্বাস শংকরপুর কালীতলার সুবোধ কুমার বিশ্বাসের ছেলে। এ ঘটনায় ১০ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন ওই শিক্ষক।
পলাতক আসামিরা হলেন, খড়কী এলাকার কাব্য, জীম, মাহিম, কুয়াশা, আশিক, বিপ্র, অরিত্র, অভিজিৎ ও অর্ক। তারা সকলেই কিশোর গ্যাঙের সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলায় শিক্ষক আবুল কাশেম বলেছেন, তিনি শহরের তেঁতুলতলা এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। গত ৬ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২ টার দিকে পৌরপার্কের দক্ষিণ পাশের একটি টি স্টলে যান চা পান করার জন্য। তখন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা অস্ত্র বের করে তার কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে আসামিরা তার পকেট থেকে আড়াই হাজার টাকা জোরপূর্বক কেড়ে নেয়। এরপর দুপুর দেড়টার দিকে তারা ওই শিক্ষকের বাড়ির সামনে যায় এবং বাকি আট হাজার টাকা দাবি করে। এ টাকা দিতে না চাইলে তারা বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায়। বাধ্য হয়ে তিনি আরও আট হাজার টাকা দিয়ে দেন। ঘটনাটি অন্য কাউকে জানালে তাকে প্রাণে শেষ করা হবে বলে হুমকি দেয়া হয়। এসময় তিনি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় তিনি থানায় অভিযোগ দেন।
কোতোয়ালি থানার এসআই জয়ন্ত সরকার জানান, এ মামলার প্রধান আসামি সজিবকে বুধবার (০৮ ফেবুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে পৌরপার্কের গেটের সামনে থেকে আটক করা হয়েছে। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চাঁদার পাঁচ হাজার টাকা। অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।
খুলনা গেজেট/কেডি