যশোরের ঝিকরগাছার স্কুলছাত্রী মারিয়া খাতুন আত্মহত্যা প্ররোচণার মামলায় কিশোর প্রেমিক মেহেদী হাসানকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে এ চার্জশিট দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুমন কুমার বিশ্বাস। অভিযুক্ত মেহেদী হাসান কাশিপুর গ্রামের রুহুল কুদ্দুস ওরফে বেড় খোকনের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মরিয়া খাতুন উপজেলার কাশিপুর জুনিয়র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনির ছাত্রী ছিল। আসামি মেহেদী হাসান একই স্কুলের ছাত্র। মেহেদী হাসান ফুসলিয়ে মারিয়া খাতুনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং বিভিন্ন সময় তার কাছ থেকে ৮ হাজার টাকা নেয়। মেহেদী আরও টাকা দাবি করে ও মারিয়ার সাথে মোবাইল ফোনের কথোপকথনের রেকর্ড বাড়ির লোকজনকে দিয়ে দেয়ার ভয় দেখায়। মারিয়া তার ভয়ে বোনের গহণা চুরি করে মেহেদীকে দেয়। বিষয়টি জানাজানির পর গহণা ও টাকা ফেরত চাইলে না দিয়ে ঘোরাতে থাকে। একপর্যায়ে মেহেদী হাসান মারিয়াকে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করতে বলে। মেহেদীর চাপে পড়ে ২০২২ সালের ২৩ আগস্ট সকালে বাড়ির লোকজনের অগোচরে ঘরের মধ্যে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে মারিয়া।
এ ব্যাপারে মারিয়া খাতুনের পিতা বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্রোরচণার অভিযোগে ঝিকরগাছা থানায় মামলা করেন।