সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক যশোর শাখার ম্যানেজারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা হয়েছে। কারাগারে আটক থাকা অবস্থায় প্রতারণার মাধ্যমে তারিখ বিহীন স্বাক্ষরিত ৪০টি চেক নেয়ার অভিযোগে মামলাটি করেছেন যশোর সদর উপজেলার কৃষ্ণবাটি গ্রামের আলী মোল্লার ছেলে মেসার্স নিউ মোল্লা এন্টারপ্রাইজের মালিক মঞ্জুর হোসেন লাবু।
মামলার আসামিরা হলেন, ব্যাংকের ম্যানেজার ও এভিপি আবু বক্কার সিদ্দিক, এফএভিপি এসএমএ সোহান ও এফএভিপি সফিউদ্দিন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী রবিউল ইসলাম।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন, ২০১৩ সালের ২১ মার্চ মঞ্জুর হোসেন লাবু ব্যবসায়িক প্রয়োজনে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক যশোর শাখা থেকে ৯০ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। ওইসময় তিনি স্বাক্ষর করা দু’টি চেক দেন। পরবর্তীতে তিনি ঋণের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় ওই দু’টি চেক দিয়ে ডিজঅনারের মামলা করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এ মামলার রায়ে আদালত লাবুকে এক বছর করে দু’ বছর কারাদন্ড দেয়। মঞ্জুর হোসেন লাবু কারাগারে আটক থাকা অবস্থায় আসামিরা তাকে জামিন করে দেবে বলে তার স্ত্রীকে প্রলুদ্ধ করেন। এরপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্বাক্ষর করতে হবে বলে লাবুর স্ত্রীকে দিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করান তারা। আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বর আসামিরা কারাগারে লাবুর সাথে দেখা করে আইনের মাধ্যমে কারাগার থেকে বের করে দেয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়ে ৪০টি চেকে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। এরপর লাবুকে কারাগার থেকে মুক্ত করানোর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। লাবু দীর্ঘ কারাভোগের পর মুক্তি পেয়ে আসামিদের কাছে চেকগুলো ফেরত চাইলে তারা না দিয়ে ঘোরাতে থাকেন। ২০২১ সালের ৩০ মে লাবু চেকগুলি ফেরত পাওয়ার জন্য উকিল নোটিশ পাঠান। এরপর লাবু সাক্ষীদের নিয়ে ব্যাংকে গিয়ে তারিখ বিহীন স্বাক্ষরিত চেকগুলি ফেরত চাইলে আসামিরা তা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। এ কারণে বাধ্য হয়ে লাবু আদালতে এ মামলা করেন।
এ বিষয়ে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজার আবু বক্কার সিদ্দিক বলেন, লাবুর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করা হয়েছে। তার একটি মামলায় তার সাজা হয়েছে। এছাড়া, মূল লোন রিসিডিউল করার জন্য চেকগুলো নেয়া হয়েছে।