খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১৯ মে, ২০২৪

Breaking News

  করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ১১
  তিন জেলায় বজ্রপাতে প্রাণ গেল ৭ জনের
  রাঙামাটিতে সশস্ত্র হামলায় ইউপিডিএফ সদস্যসহ নিহত ২

যশোরে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোর পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা সেলিম আহমেদের বিরুদ্ধে যৌতুকের অভিযোগে আদালতে মামলা করেছেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী খাদিজা খাতুন। মঙ্গলবার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুদ্দীন হোসাইন অভিযোগটি আমলে নিয়ে আসামির প্রতি সমন জারির আদেশ দিয়েছেন।

অভিযুক্ত সেলিম আহমেদ খুলনার তেরখাদা উপজেলার আনন্দনগর গ্রামের আশিকুর রহমানের ছেলে ও বর্তমানে খুলনার রূপসার চাঁদপুর শিয়েনী এলাকায় বসবাস করেন।

মামলার বাদী খাদিজা খাতুন ফরিদপুরের কালামৃধা এলাকার বাবুল মোল্লার মেয়ে। বর্তমানে তিনি যশোর শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোড বেলতলার বাসিন্দা।

মামলায় তিনি বলেছেন, ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর তিন লাখ টাকা দেনমোহরে সেলিম আহমেদের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় সেলিম তাকে জানিয়েছিলেন, তার প্রথম স্ত্রী মারা গেছেন। এ কারণে তিনি ফের বিয়ে করছেন। খাদিজা খাতুনকে বিয়ে করার সময় তার বাবা বাবুল মোল্লার কাছে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন সেলিম আহমেদ। কিন্তু তিনি জামাইকে যৌতুক দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। বিয়ের পর সেলিম যৌতুকের পাঁচ লাখ টাকার দাবিতে খাদিজা খাতুনকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন। একপর্যায়ে মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে বাবুল মোল্লা জামাই সেলিমকে তিন লাখ টাকা প্রদান করেন। এরই মধ্যে খাদিজা খাতুনের একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। সুমাইয়া সুলতানা নামে ওই মেয়ের বর্তমান বয়স দেড় বছর। কিন্তু মেয়ে জন্ম গ্রহণের ৫-৬ মাস পর ফের সেলিম যৌতুকের বাকি দুই লাখ টাকার জন্য খাদিজা খাতুনকে নির্যাতন শুরু করেন।
অভিযোগে আরো বলা হয়, গত ২৩ জুন সেলিম স্ত্রী খাদিজাকে সন্তানসহ তার বাবার বাড়িতে রেখে যান। যৌতুকের বাকি দুই লাখ টাকা না দিলে খাদিজা খাতুনকে নেবেন না বলেও জানিয়ে দেন।

তিনি একথা বলেন, আগের স্ত্রী-সন্তান নিয়ে এখন ঘর সংসার করবেন। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন বলে খাদিজা খাতুন উল্লেখ করেছেন। এই ব্যাপারে অভিযুক্ত সেলিম আহমেদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!