যশোরের ঝিকরগাছার কৃষ্ণনগরে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের রিপোর্টার জিয়াউল হক ও ক্যামেরাপার্সন শরীফ বাঙালিকে মারপিট করেছে সন্ত্রাসীরা। এসময় দুর্বৃত্তরা ক্যামেরা ভাংচুর ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। বুধবার দুপুরে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাংবাদিক জিয়াউল হক জানান, ঝিকরগাছার কৃষ্ণনগর এলাকার মকবুল হোসেনের বিরুদ্ধে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার প্রভাব খাটিয়ে একাধিক জমি দখল, মারপিট, নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া, ৩৭তম ব্যাচে পুলিশের এএসপি পদে ফখরুল ইসলাম চাকরি পাওয়ার পর তাদের দাপট আরো বৃদ্ধি পায়। গত ১০ বছরে অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে মকবুল ও ফখরুল কয়েকগুণ জমি দখল করে। এ বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে কৃষ্ণনগর এলাকায় মকবুল ও এএসপি ফখরুলের লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর এ হামলা চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান জানান, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যশোর টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ও ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের রিপোর্টার জিয়াউল হক এবং ক্যামেরাপার্সন শরীফ বাঙালির ওপর হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ।
এক বিবৃতিতে টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন যশোরের আহ্বায়ক সাকিরুল কবীর রিটন বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দুর্বৃত্তের হামলার শিকার হয়েছেন জিয়া ও শরীফ। একই সাথে ক্যামেরা ভাংচুর ও তাদের আটকে রাখা হয়। এ ঘটনায় আমরা ক্ষুব্ধ। আমরা এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। একই সাথে ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত আটক ও শাস্তির দাবি জানান।
খুলনা গেজেট/কেডি