বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম কিস্তির চেক যশোরে বিতরণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) যশোর সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিকদের আর্থিক সুরক্ষা ও কল্যাণে করণীয় শীর্ষক এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের উপ-পরিচালক এ বি এম রফিকুল ইসলাম, যশোরের সিনিয়র তথ্য অফিসার রেজাউল করিম, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, প্রাচ্য সংঘের প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক বেনজিন খান, প্রেসক্লাব যশোরের সাবেক সহ সভাপতি নুর ইসলাম, সাংবাদিক নেতা তৌহিদ জামান, আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু প্রমুখ।
সভায় প্রধান অতিথি বলেন, সাংবদিকতা পেশা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ পেশা, অথচ এ পেশায় যারা এসেছেন তাদের মধ্যে অনেকেই আজ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বিগত ১৬ বছর সাংবাদিকদের একটি গোষ্ঠীকে বারবার অনুদান দেয়া হয়েছে। গণমাধ্যম রাষ্ট্রের মূল চালিকা শক্তি হলেও, এই শক্তিকে বিগত দিনে অথর্ব করে রাখা হয়েছিল। পরিণত করা হয়েছিল রুগ্ন প্রতিষ্ঠানে। আর সাংবাদিকদের বানানো হয়েছিল প্রান্তিক জনগোষ্ঠীতে।
তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকদের আর্থিক সুরক্ষা ও কল্যাণে সম্ভাব্য করণীয় সব কিছু করার চেষ্টা করা হবে। অচিরেই প্রবীণ সাংবাদিকদের জন্য মাসিক সম্মানি ভাতা দেওয়া হবে। তিনি দেশের বিরুদ্ধে যারা দেশে বিদেশে ষড়যন্ত্র করছে তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহবান জানান।
সভাপতির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেন, জুলাই আগস্টের বিপ্লবে দেশে যে ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে, তা নজিরবিহীন। এই ঐক্যকে ধরে রাখতে হবে। তাহলে যেকোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা অত্যন্ত সহজ হবে। যেসব ছেলেরা রক্ত দিয়েছে তাদের জন্য আমরা কিছু করতে না পারলেও অন্তত সম্মান জানাতে কখনও কার্পণ্য করব না।
সভায় জুলাই-আগস্টে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় এক মিনিট নিরবতা ও দোয়া করা হয়। সবশেষে যশোরসহ খুলনাঞ্চলের মৃত, অসচ্ছল এবং অসুস্থ সাংবাদিকদের মাঝে চেক বিতরণ করা হয়। এরমধ্যে যশোরের ১৩ সাংবাদিকসহ মাগুরা, কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর জেলার ৩০ সাংবাদিককে ৫০ হাজার থেকে দুই লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।
খুলনা গেজেট/ টিএ