যশোর সদরের চুড়ামনকাটিতে রিকশাচালক আলমকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ১২ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। এরমধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে নিহতের স্ত্রী রোকসানা বেগম মামলা দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে ওই দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আটককৃতরা হলো চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দাউদ হোসেনের ছেলে রক্সি ও চুড়ামনকাটি এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে মানিক।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন জানান, রিকশাচালক আলম বছর খানেক আগে চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্নার রাইস মিলে চাকরি করতেন। সেই সুবাদে তিনি চেয়ারম্যানের মিছিল মিটিংয়ে অংশ নিতেন। নির্বাচনে মুন্না চেয়ারম্যান পরাজিত হলে নতুন চেয়ারম্যান দাউদ আলীর লোকজন আলমসহ বেশ কয়েকজনের বাড়ি ভাঙচুর করে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয়। এরপর থেকে আলম যশোর শহরের পালবাড়িতে ভাড়া বাসায় বসবাস এবং রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। শুক্রবার দুপুরের দিকে আলম চুড়ামনকাটি এলাকায় গেলে দাউদ চেয়ারম্যানের লোকজন তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রোকসানা বেগম শুক্রবার রাতে ১২জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।
এএসপি বেলাল হোসেন আরো জানান, মামলা পাওয়ার পর রাতেই অভিযান চালিয়ে হত্যায় জড়িত দাউদ চেয়ারম্যানের ছেলে রক্সি ও তার সহযোগী মানিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা তদন্তকারী অফিসার এসআই সালাউদ্দিন জানান, ধৃত আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে ।তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে এবং ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামিদের আটকের জন্য পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই