খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর নিয়োগ নিয়ে ছাত্রদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  ৭ দিনের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা
  ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
  ৪০তম ব্যাচের ক্যাডেট এসআইদের সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত
আদালতে জবানবন্দি

যশোরে যে কারণে ছেলেকে হত্যা করেন নুরুল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরে নিজের ছেলেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ও শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন পিতা নুরুল ইসলাম। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম জবানবন্দি শেষে নিহত রুহুল আমিনের পিতাকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন।

আসামি নুরুল ইসলাম সদর উপজেলার মৃত জোমাত আলী মোল্লার ছেলে। তার বিরুদ্ধে স্ত্রী শান্তনা বেগম ছেলে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

পিতা নুরুল ইসলাম সোমবার বিকেলে আদালতে জানিয়েছেন, তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ের বাবা। বড় ছেলে রুহুল আমিন যশোর শহরের নীলগঞ্জ এলাকার একটি লেদে কাজ করে। ছোট ছেলে আল আমিন মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। নুরুল ইসলামের পৈত্রিক অনেক সম্পত্তি ছিল। সংসারে অভাব অনাটনের কারণে বিভিন্ন সময়ে তার এ সম্পত্তি বিক্রি করে প্রায় শেষ করে ফেলছেন। এ নিয়ে তাদের পারিবারিক বিরোধ চলতো। বড় ছেলে রুহুল প্রায়ই সময় তাকে গালিগালাজ করে। ঘটনার দিন গত ১৫ মে লেদের কাজ শেষে বাড়িতে এসে রাতের খাওয়া দাওয়া শেষে ঘরে শুয়ে থাকলেও না ঘুমিয়ে তাকে গালিগালাজ করতে থাকে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ছেলের গালিগালাজে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘরের মধ্যে গিয়ে প্রথমে ঘুমন্ত রুহুল আমিনকে বৈদ্যুতিক শক এবং পরে তার বুকের উপরে বসে শ্বাসরোধে হত্যা করে। তবে এ ঘটনার জন্য তিনি ভুল স্বীকার করেছেন।

এদিকে নুরুল ইসলামের স্ত্রী শান্তনা বেগম ছেলে হত্যার ঘটনায় স্বামীর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় সোমবার রাতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় শান্তনা বেগম বলেছেন, দাম্পত্য জীবনে তাদের দুটি ছেলে ও একটি মেয়ে। স্বামী নুরুল ইসলামের পৈত্রিক অনেক সম্পত্তি বিক্রি করে ফেলেছেন। এরই মধ্যে ছেলে-মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে স্ত্রী শান্তনা বেগম পরিবারের অন্য সকলের সহযোগিতা চান। ফলে সকলের সহযোগিতায় স্বামীর কাছ থেকে ভিটা বাড়ির ছয় শতক জমি ছেলে-মেয়ের নামে লিখে নেন। এরপর থেকেই তাদের পারিবারিক বিরোধ বড় আকার ধারণ করে। সবশেষে গত ১৫ মে শান্তনাকে মারপিট করে তার পিতার বাড়ি তাড়িয়ে দেয় নুরুল ইসলাম। এরপর রুহুল আমিনকে শ্বাসরোধে ও বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যা করে।

খুলনা গেজেট/ এস আই

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!