যশোরে যুবদল নেতা বদিউজ্জামান ধনী হত্যা মামলার আরেক আসামিকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। সোমবার বিকেলে শহরের ঈদগাহের পশ্চিম পাশ থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক মন্টু ওরফে হিটার রাজ টিবি ক্লিনিক এলাকার মিরাজ বিশ্বাসের ছেলে।
অপর একটি সূত্র জানায়, আটক মন্টু শিশু সেজে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে যায় সোমবার। কিন্তু আদালতে প্রয়োজনীয় প্রমানপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়। পরে বাড়ি ফেরার পথে পুলিশ তাকে আটক করে। এ নিয়ে এ মামলায় এজাহারভুক্ত চার আসামি আটক হয়েছে। কিন্তু মুল ইন্দনদাতা বিএনপি নেতা শামীম আহমেদ মানুয়া এখনো রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এদিকে, এ ঘটনার পর থেকে আরও কয়েকজন গাঁ ঢাকা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম সন্ত্রাসী রমজান ওরফে রব। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
এদিকে, এলাকাবাসী জানায় মানুয়া নিজে বিএনপি নেতা হলেও এলাকায় তার জামাইদের প্রভাব খাটাতেন। যুবলীগ কর্মী ইয়াসিনের সাথে মেয়ে বিয়ে দেয়ার পর থেকেই তিনি আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠেন। এছাড়া তার আরেক জামাইয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে তিনি যথেচ্ছা করে বেড়াতেন। তার ঘনিষ্ট সহযোগি ছিলো ওই এলাকার রব নামে আরেক সন্ত্রাসী। তার নামেও রয়েছে একাধিক মামলা। মামলার বাদী পক্ষের অভিযোগ অনেক আগে থেকেই মানুয়া ও রব, ধনীকে মারার পরিকল্পনা করে। সর্বশেষ ১২ জুলাই ধনী হত্যার পর থেকেই মানুয়ার সাথে রবও লাপাত্তা হয়ে যায়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আনসারুল হক জানান, পুলিশ মানুয়াকে আটকে একেরপর এক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। ঘটনার পর থেকেই তিনি বাড়ি ছাড়া।
উল্লেখ্য, এরআগে এ মামলায় তিন আসামিকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে প্রধান আসামি রায়হান আদালতে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। তিনি জানান, দলীয় কোন্দল ও খুনের প্রতিশোধ নিতে তার মামা বিএনপি নেতা মানুয়া ধনীকে হত্যার নির্দেশনা দেন। তার নির্দেশেই রায়হান, ইছামীর, আকাশসহ অন্যরা ধনীকে কুপিয়ে হত্যা করে।
এছাড়া, এ মামলার আরেক আসামি টিবি ক্লিনিক এলাকার আল আমিন ওরফে চোর আল আমিনকে র্যাব আটক করে। সর্বশেষ সোমবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই আনসারুল হক, মন্টু ওরফে হিটার রাজকে আটক করে।
এসআই আনসারুল হক জানান, মন্টুর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করে। এছাড়া এ মামলার অপর আসামি মানুয়াসহ অন্যদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। রমজানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, তদন্ত চলছে আগে থেকেই কিছু বলা যাচ্ছে না।
ধনীর ভাই মনিরুজ্জামানের করা হত্যা মামলার পলাতক অন্যরা হলেন, বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক ফুড গোডাউনের সামনের আশ্রম রোডের আকাশ, টিবি ক্লিনিক এলাকার মিলন ও চোপদারপাড়ার রিজভী।
খুলনা গেজেট / আ হ আ