যশোরের রামনগরে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ দু’জনকে আটক করেছে। এরা হলো, যশোর সদর উপজেলার রামনগর কামালপুর গ্রামের মহরম গাজীর ছেলে আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন (৩৫), আব্দুল খালেক কমলার ছেলে আব্দুর রহিম জুয়েল (৩৪)। বুধবার গভীরাতে এসআই হারুন অর রশিদ অভিযান চালিয়ে বাড়ি থেকে তাদের আটক করেন।
গত মঙ্গলবার দুপুরে কামালপুর পশ্চিমপাড়ার আফজাল হোসেন (৩২) তার মোটরসাইকেলে মেয়ে সুমাইয়ার (৯) খাবার নিয়ে সতীঘাটা ক্যাডেট মাদ্রাসায় যান। তিনি মোটরসাইকেলটি মাদ্রাসা গেটে রেখে খাবার নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করার পর চোরচক্র (যশোর-হ-১২-৮৭০০) পালসার গাড়িটি নিয়ে চম্পট দেয়। এ ঘটনায় আফজাল হোসেন কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরদিন বুধবার সিসিটিভি ক্যামেরায় ভিডিও ফুটেজে চোরচক্রের পোষাক দেখে চিহিৃত করা হয়। ভিডিও ফুটেজটি থানা পুলিশকে প্রদান করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ প্রদানের পর স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি নজরুল ইসলাম ও সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন চোরচক্র রক্ষা করতে মরিয়া হয়ে থানায় দেনদরবার শুরু করেন। এ নিয়ে সতীঘাটা এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে। আটক দু’জনের বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাইসহ মাদক ব্যবসার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। তারা ইতিপূর্বে বেশ-কয়েকবার এ জাতীয় অভিযোগে পুলিশের হাতে আটক হয়। স্থানীয় দু’নেতার ছত্র-ছায়ায় চক্রটি দেদারছে মাদক ব্যবসাসহ নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ভয়ে কেউ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পায় না।
এর আগে তোলাগোলদারপাড়া গ্রামের মৃত অজিত বিশ্বাসের ছেলে নিমাই বিশ্বাসের কামালপুর রাজবংশীপাড়া পূজামন্দির হতে হিরোহোন্ডা মোটরসাইকেল, মৃত হোসেন গাজীর ছেলে ফশিয়ার রহমানের কাজীপুর হতে পালসার মোটরসাইকেল, ভাটপাড়া গ্রামের সাধন সরকারের ছেলে কমলকৃষ্ণ সরকারের পালসার মোটরসাইকেল, একই গ্রামের মৃত রবীন্দ্রনাথ সরকারের ছেলে মিলন সরকারের পালসার মোটরসাইকেল, কামালপুর গ্রামের মৃত আশরাফ আলী ছেলে মহির সরদারের কামালপুর মসজিদের সামনে থেকে হিরোহোন্ডা মোটরসাইকেল, একই গ্রামের মৃত শামসুল হকের ছেলে হাশেম আলীর মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে। এছাড়াও কামালপুর গ্রামের হারুনের ইজিবাইক, শফিকুলের ইজিবাইক, পান্তাপাড়ার আলতাফের ছেলে মাসুমের ইজিবাইক, ইজিবাইকের ব্যাটারিসহ একাধিক চুরি হয়। কিন্তু চোরাই গাড়িসহ মালামাল আজো উদ্ধার হয়নি। একের পর এক চুরির ঘটনায় স্থানীয় মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। এর পরিত্রাণ পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
খুলনা গেজেট/কেএম