যশোর সদর ও কেশবপুরে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে ২৬টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে উৎসবপূর্ণ পরিবেশে ও নারী ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতিতে এবারের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সদর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের ডাকাতিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সহিংসতায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহত ফারুক হোসেন চৌধুরী ও জাহাঙ্গীর আলম কনস্টেবল পদে কোতোয়ালি থানায় কর্মরত রয়েছেন।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন চলাকালে সকালে তিনি কেন্দ্র পরিদর্শনে ডাকাতিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে যান। এসময় বিশৃঙ্খলা দেখে তার বডিগার্ড পুলিশ কনস্টেবল ফারুক চৌধুরীকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশ দেন। এসময় মেম্বর প্রার্থী আপেল মার্কার ছেলে পিছন থেকে বাঁশ দিয়ে ফারুকের মাথায় আঘাত করে। তাকে ঠেকাতে গিয়ে কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলমও আহত হন।
আহত জাহাঙ্গীর আলমকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আর ফারুককে গুরুতর আহত অবস্থায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে যশোর সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নে নামেজ সরদার মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের বাইরে দুর্বৃত্তরা ২টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দু’জনকে পুলিশ আটক করেছে।
এদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদরের বসুন্দিয়া ইউনিয়নের পদ্মবিলায় ভোট সংক্রান্ত ব্যাপারে আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী তুহিন খানের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে কোন হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে, আরবপুর ইউনিয়নের বালিয়া ভেকুটিয়া কেন্দ্রের অদুরে আবুল মোল্লার নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের একদল যুবক বালিয়া ভেকুটিয়া বাজারের রাস্তায় দাড়িয়ে লাঠিসোটা হাতে নিয়ে সন্ত্রাসীরা ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাঁধা দেয়।
যশোর সদর ও কেশবপুর উপজেলার ২৬টি ইউনিয়নে এক হাজার পাঁচশ’ ৩০ জন প্রার্থী বুধবার ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হন। ইউনিয়নগুলোতে ছয় লাখ সাত হাজার ছয়শ’ ৯৬ জন ভোটার রয়েছেন।
নির্বাচন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কুয়াশা ও তীব্র শীত উপেক্ষা করে সকাল থেকে ভোটাররা কেন্দ্রে এসে ভোট দিয়েছেন। তারা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারছেন বলে জানিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই