যশোর জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে আমিরন নেছা (৬৫) নামে বৃদ্ধা ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করেছেন।বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় হাসপাতালে রোগীর স্বজনরা এ অভিযোগ করেন। ওই নারী বেনাপোল থানার গাজীপূর গ্রামের আশরাফ আলীর স্ত্রী।
রোগীর ছেলে মতিয়ার রহমান অভিযোগ করেন, গত ১৩ অক্টোবর রাতে আমার মাকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসি। এসময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে তাকে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। বুধবার রাতে ওয়ার্ডে শারমিন নামে একজন নার্স ডিউটিতে ছিলেন। আমার মার অবস্থা খারাপ হওয়ায় আমি ওই নার্সকে ডাকলে তিনি আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। তিনি বলেন, তুই যদি আমাকে আর একবার ডাকিস তাহলে তোকে ওয়ার্ড থেকে বাইরে করে দেবো।
নিহতের ছেলে আরো অভিযোগ করেন, আমার মাকে রাতে প্রেসারের ওষুধ দেয়া হয়েছে। কিন্তু রাতের ওই ওষুধ সকালে তাকে খাওয়ানো হয়েছে। যার কারণে আমার মায়ের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, সকালে ডিউটিরত একজন সেবিকা আমাকে বলেছে মাকে প্রেসারের ওষুধ দুইবার রাতে ও সকালে খাওয়ানোর কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ওবায়দুল কাদির উজ্জল বলেন, ওই রোগী গত দুই দিন আগে ডায়রিয়া ও শ্বাস কষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পরে পরীক্ষা করে জানা গেলো তার কিডনির সমস্যা আছে। তার করোনা পরীক্ষার সময় পাওয়া যায়নি। প্রেসারের কোন সমস্যা ছিলো না। যার কারণে প্রেসারের কোন ওষুধ প্রেসক্রিপশন করা হয়নি। হয়তো ইলোকট্রোরাইড ইনবেলেন্স হওয়ার কারণে তার মৃত্যু হতে পারে।
খুলনা গেজেট/এনএম