যশোর জেলা বিএনপির নেতা ফেরদৌস হোসেন হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত দুই আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। রোববার আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন, শহরের লোহাপট্টির আবুল হোসেনের স্ত্রী মমতাজ বেগম ও ঝিকরগাছা উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের মৃত আব্দুল ওহাবের স্ত্রী সালেহা খাতুন।
২০১৬ সালের ২৩ মার্চ রাতে জেলা বিএনপির তৎকালীন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফেরদৌস হোসেনকে শহরের লোহাপট্টিতে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নাজমুন নাহার মুক্তি অজ্ঞাতদের আসামি করে কোতয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে একই ঘটনায় তিনি আদালতে আরও একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
আদালতে দায়ের করা অভিযোগে শহরের লোহাপট্টির মৃত আনছার আলী বিশ্বাসের ছেলে ফারুক আহমেদ, তার স্ত্রী শিউলী বেগম, বোন মমতাজ বেগম, ভগ্নিপতি আবুল হোসেন এবং রেলগেট এলাকার মোতালেব হোসেন টুটুলকে আসামি করা হয়। হত্যা মামলাটি পর্যায়ক্রমে কোতয়ালি থানা পুলিশ, সিআইডি পুলিশ ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই তদন্তের দায়িত্ব পায়। তদন্ত শেষে পিবিআই’র এসআই স্নেহাশীষ দাস চলতি বছরের এপ্রিল মাসে পাঁচ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
এরা হলেন, শহরের লোহাপট্টির আনসার আলী বিশ্বাসের ছেলে ফারুক আহমেদ, তার স্ত্রী শিউলী বেগম, মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে আবুল হোসেন, তার স্ত্রী মমতাজ বেগম ও ঝিকরগাছা উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের মৃত আব্দুল ওহাবের স্ত্রী সালেহা বেগম। রোববার গ্রেফতার এড়াতে অভিযুক্ত মমতাজ বেগম ও সালেহ বেগম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
খুলনা গেজেট/এনএম