যশোর পৌরসভার নির্বাচনে পাঁচজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এদের মধ্যে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাবেক মেয়র মারুফুল ইসলামও রয়েছেন। অপরজন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রহমান কাকন মৃধা। এ তালিকায় তিনজন কাউন্সিলর প্রার্থীও রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। রিটার্নিং অফিসারের সভাকক্ষে এ বাছাই কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন রিটার্নিং অফিসার ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার হুমায়ুন কবির, সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুর রশিদ এবং ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাচন অফিসার অপূর্ব কুমার বিশ্বাস।
এ বাছাইতে দু’জন মেয়র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে দু’জনের। বৈধ প্রার্থীরা হচ্ছেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত হায়দার গনি খান পলাশ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোহাম্মাদ আলী সরদার। যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তারা হচ্ছেন, বিএনপি মনোনীত মারুফুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রহমান কাকন মৃধা।
ঋণ খেলাপী হওয়ায় বিএনপি প্রার্থী মারুফুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে বলে রিটার্নিং অফিসার জানিয়েছেন। এছাড়া, অসম্পূর্ণ তথ্য দেয়ার কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রহমান কাকন মৃধার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তারা ৫ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রার্থীতা ফিরে পেতে আপিল করতে পারবেন।
সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের ১৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর সবার মনোনয়নপত্র বৈধ বলে বিবেচিত হয়েছে। ৫০ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৪৭ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার। মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া তিনজনের মধ্যে দু’ নম্বর ওয়ার্ডের ইকবাল কবির ঋণখেলাপী হওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। একই ওয়ার্ডের অপর প্রার্থী টুটুল মোল্লা হলফনামা সঠিকভাবে পূরণ না করায় বাতিল হয়েছে তার মনোনয়নপত্রও।
অন্যদিকে, হলফনামা না দেয়ায় নয় নম্বর ওয়ার্ডের রিয়াজ উদ্দিনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর নির্বাচনী বিধিমালা নিয়ে ব্রিফ করেন সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুর রশিদ। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন। ১২ ফেব্রুয়ারি বৈধ প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো যশোর পৌরসভায় ইভিএমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতির বিষয়ে ভোটারদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।