যশোরে বাক প্রতিবন্ধী যুবতী (১৯) ধর্ষণের প্রায় সাড়ে তিন মাস পর কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। যশোর শহরতলীর আরবপুরের নুর মোহম্মদ নঈমের মেয়ে লিমা ওরফে রিমা খাতুন বাদি হয়ে এ মামলাটি করেন। মামলায় আসমি অজ্ঞাত করা হয়েছে।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেছেন, গত ১ আগস্ট রাত সোয়া ১১টার দিকে তিনি বোনের বাড়ির সামনে বসে থাকার সময় হঠাৎ গোঙ্গানীর শব্দ শুনতে পান। এরপর তিনি রাত ১১ টা ২৮ মিনিটে আরবপুর মৎস্য অফিসের সামনে গিয়ে দেখেন আনুমানিক ১৯ বছর বয়সী এক অজ্ঞাত যুবতী বিবস্ত্র অবস্থায় রাস্তায় অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে সে কিছু বলতে পারছে না। এসময় তিনি ধারণা করেন অসুস্থ যুবতী বাক প্রতিবন্ধী। তাকে সুস্থ করার জন্য মানবিক কারণে মাথা, মুখে, চোখে পানি ছিটিয়ে সচেতন করি। সে বাক প্রতিবন্ধী হওয়ায় কথা বলতে না পারায় তার পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। আমি সেবা যত্ন দিয়ে তাকে সুস্থ করার চেষ্টা করি। কিন্তু সে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে ২ আগস্ট যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানা পুলিশকে খবর দেয়।
পুলিশ ঘটনার বিষয় অবগত হয়ে হাসপাতালে এসে অজ্ঞাত ওই নারী, অজ্ঞাত ব্যক্তি কর্তৃক শারিরীক নির্যাতন হতে পারে বিধায় তার ধর্ষণ সংক্রান্ত ও বয়স নির্ধারণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। হাসপাতালে তার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হলে ধরা পড়ে অজ্ঞাত ওই নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ১ আগস্ট রাত ৯টা থেকে রাত ১১টা ২৮ মিনিটের মধ্যে যে কোন সময় অজ্ঞাত আসামিরা বাক প্রতিবন্ধী ওই যুবতীকে ধর্ষণ করে। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হওয়ার পর ক্ষতিগ্রস্ত যুবতীর আত্মীয় স্বজনের ঠিকানা না পাওয়ায় তাকে ঢাকা আহসানিয়া মিশনের শেল্টার হোমে পাঠানো হয়।
খুলনা গেজেট/এনএম