যশোরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে ঘিরে শহর পরিচ্ছন্ন ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। গত তিনদিন যাবৎ এ অভিযানে দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার শহরের দড়াটানামোড় ও স্টেডিয়াম সংলগ্ন সড়কের অবৈধ স্থাপনা তারা বুলড্রোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে।
সূত্র জানায়, অভিযানের প্রথম দিন ৮ নভেম্বর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা, চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড ও বিমান অফিসমোড় এলাকায় ড্রেন ও পৌর সড়কের দু’পাশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থায়ী ও অস্থায়ী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়।
পৌর কর্তৃপক্ষ বলেছে, এদিন ছোট-বড় পঞ্চাশটি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। উচ্ছেদ অভিযানের এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ফলে শহরে কিছুটা হলেও যানজট কমবে। নির্বিঘ্নে পথচলার সুযোগ সৃষ্টি হবে মানুষের। তবে এ উচ্ছেদ অভিযানে খুশি নন অনেকেই। শুধুমাত্র টোঙ দোকানসহ ভ্রাম্যমাণ দোকানিদের সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। প্রভাবশালীরা থেকে যাচ্ছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। অবশ্য পৌর কর্তৃপক্ষের দাবি এ অভিযান থেকে কেউ পার পাবে না।
এদিকে, বৃহস্পতিবার শহরের দড়াটানামোড় এলাকা ও পৌরপার্কের স্টেডিয়াম রোডের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এখানকার ফুটপাথ ব্যবসায়ী ও ফুটপাথ দখলকারীদের বিভিন্ন মালামাল ট্রাক ভরে সরিয়ে নেয়া হয়েছে ও ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। উচ্ছেদের ফলে সড়ক দুটি প্রশস্থ হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষ সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
যশোর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী বিএম কামাল হোসেন জানান, উচ্ছেদ অভিযানে গত তিনদিনে সড়কের দু’পাশের দু’শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ সময় বেশকিছু টিনসেডের দোকানপাটের সামনের অংশ ভাঙা পড়েছে। তিনি বলেন, এখনো যেসব অবৈধ স্থাপনা রয়ে গেছে, তাও গুড়িয়ে দেয়া হবে। তিনি বলেন, পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে এম আবু নওশাদের নেতৃত্ব উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। শহরজুড়ে চলবে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান।
অভিযান পরিচালনাকারী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও যশোর পৌরসভার সিইও কেএম আবু নওশাদ জানান, পৌরসভা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কের দুই পাশে নিরাপদ ফুটপাত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এ অভিযানে ফুটপাত থেকে অবৈধ স্থাপনা, ছোট দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়েছে। একইসাথে ফুটপাতের সাথে থাকা ব্যবসায়ী ও দোকানিদের ফুটপাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করতে সতর্কতামূলক নির্দেশনা দেয়া হয়। তিনি বলেন, মাইকিংয়ের মাধ্যমে ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে ব্যবসায়ীসহ অবৈধ স্থাপনার মালিকদের অবগত করা হয়েছে। আমরা ব্যবসায়ীদের ফুটপাত দখলমুক্ত রাখার জন্য আহ্বান করেছি। এরপরও যদি কেউ ফুটপাত দখলে রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
খুলনা গেজেট/ টি আই