যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি বাজার থেকে কাজী আহসান কবির (৪৩) নামে পুলিশের ভুয়া ডিএসবি সদস্য বুধবার দুপুরে আটক হয়েছেন। স্থানীয় মিন্টু আলী নামে এক যুবককে ডিএসবিতে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়।
অভিযুক্ত কাজী আহসান কবির সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কিসমত ইলিশপুর গ্রামের কাজী আবুল কাশেমের ছেলে। বর্তমানে তিনি চুড়ামনকাটি এলাকার আলমগীর হোসেনের ভাড়াটিয়া বাড়িতে বসবাস করেন।
ভুক্তভোগী মিন্টু আলী বড় হৈবতপুর গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি অভিযোগে বলেন, ছাতিয়ানতলা গ্রামের হাবিবুর রহমানের মাধ্যমে কাজী আহসান কবিরের সাথে তার পরিচয় হয়। হাবিবুর রহমান ডিএসবিতে বড় পদে চাকরি করেন বলে এলাকায় পরিচয় দিয়ে থাকেন। তিনি যে কোনো সময় লোকজনকে চাকরি পাইয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখেন বলেও এলাকায় প্রচার করে থাকেন। তার কথায় বিশ্বাস করে মিন্টু আলী তাকে চাকরি পাইয়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন। কাজী আহসান কবির তাকে ডিএসবিতে চাকরি পাইয়ে দেবেন বলে আশ্বাস দেন ও এ কাজে তার কাছে ৪ লাখ টাকা দাবি করেন। ২০২০ সালের ২৩ জুলাই সকালে মিন্টু, তার স্ত্রী শান্তা ইসলাম ও পূর্ব পরিচিত হাবিবুর রহমানকে সাথে নিয়ে কাজী আহসান কবিরের বাসায় যান এবং চাকরির জন্য তাকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা দেন। এরপর মিন্টু আলীকে চাকরি দিতে না পারায় তিনি টাকা ফেরত চান। কিন্তু টাকা ফেরত দিতে নানা তালবাহানা করতে থাকেন আহসান কবীর।
একপর্যায়ে বুধবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে মিন্টু আলী পূর্ব পরিচিত কয়েকজন ও ইউপি সদস্য আনিচুর রহমানকে সাথে নিয়ে কাজী আহসান কবিরের বাসায় যান। সেখানে তিনি আহসান কবিরের কাছে টাকা ফেরত চাইলে তিনি টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। তখন উপস্থিত লোকজন তিনি কোন জেলায় ডিএসবিতে চাকরি করেন তা জানতে চাইলে তিনি এলোমেলো জবাব দেন। এরপর চাপ সৃষ্টি করায় তিনি স্বীকার করেন, তিনি কোনো চাকরি করেন না।
এ বিষয়ে সাজিয়ালী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সুকুমার কুন্ডু জানান, বিষয়টি জানতে পেরে বুধবার দুপুর ২টার দিকে অভিযুক্ত কাজী আহসান কবিরকে তার বাসার সামনে থেকে আটক করা হয়। এরপর তাকে প্রতারণার মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।