যশোরে বিএনপির আরো ২০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে থানা পুলিশ। শুক্রবার দায়ের করা মামলায় আটক ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটকের পর শনিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও বাঘারপাড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল হাই মনা, সদর উপজেলার বানিয়ালি গ্রামের আব্দুর রশিদ, যশোর উপশহর এক নম্বর সেক্টরের বিল্লাল হোসেন, সদরের জগহাটি গ্রামের মল্লিকপাড়ার আব্দুল মান্নান, এনায়েতপুর গ্রামের স্বপন, ফুলবাড়ি গ্রামের জয়নাল আবেদীন, গাইদগাছি গ্রামের মশিয়ার রহমান, সদুল্লাপুর গ্রামের রুহুল আমিন, শ্রীপর্দ্দী গ্রামের রুহুল আমিন লাল্টু, ভাতুড়িয়া গ্রামের আসানুর রহমান, চাঁচড়া মজিদপাড়ার মঈন আলী, চাঁচড়া শিবমন্দির এলাকার সোহাগ হোসেন, মন্ডলগাতি গ্রামের মিরাজ হোসেন, বাঘারপাড়ার হাবুল্লা গ্রামের মোক্তাদির হোসেন টগর, বেনাপোল পোর্ট থানার গাতিপাড়ার জুলফিকার আলী জুলু, কাগজপুকুরের সোহরাব হোসেন, বাগআঁচড়া সাতমাইল মাঠপাড়ার হারুন মোল্লা, বাগআঁচড়ার আমিনুর রহমান মনির, গোড়পাড়ার হারুন খাঁ ও হাশিমপুর বাজারের কামরুল ইসলাম বিশ্বাস।
মামলা সূত্রে জানাযায়, গত ২৪ ডিসেম্বর (শুক্রবার) সকাল ৬টার দিকে শহরের লালদীঘির পূর্বপাড়ে শ্রী হরিসভা মন্দিরের সামনে বিএনপির নেতাকর্মীরা অর্ন্তঘাত ও ধংসাত্বক মূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে উচ্ছেদ ও রাষ্ট্রযন্ত্রকে দুর্বল করার চেষ্টায় জড়ো হয়। এ সংবাদ পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে দেখতে পায় দুষ্কৃতিকারীরা সরকার ও রাষ্ট্র বিরোধী শ্লোগান দিচ্ছে। এসময় সেখান থেকে ১৭ জনকে আটক করা হয়। বাকিরা পালিয়ে যায়।
আটককৃতদের কাছ থেকে ৬টি ককটেল ও তিনটি ব্যাগে রাখা ছোট সাইজের ৪৯টি পাথর উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কসবা ফাঁড়ি ইনচার্জ ইন্সপেক্টর রেজাউল ইসলাম বাদী হয়ে ৪২ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। এ মামলায় আটক ২০ জনকে আসামি করে শনিবার আদালতে চালান দেয়া হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই