যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় স্ত্রীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। ওই গৃহবধূর স্বামী বাপ্পি হোসেন তাকে অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছেন। নির্যাতনে তার গোপনাঙ্গের রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় বুধবার (৩ নভেম্বর) তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গুরুতর অসুস্থ গৃহবধূর মায়ের অভিযোগ, বাপ্পির সাথে পাঁচ বছর আগে মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় মেয়ে-জামাইয়ের নতুন সংসারের জন্য তারা প্রায় ছয় লাখ টাকার মালামাল দেন। মেয়ের সংসারে জুনায়েদ (৪) ও এনায়েত নামে (দেড় বছর) দুটি ছেলে সন্তান আছে। কিন্তু বাপ্পির চরিত্র খারাপ। ঘরে স্ত্রী থাকার পরেও সে একই গ্রামের আন্না নামে এক নারীর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এর আগেও একটি মেয়ের সাথে বাপ্পির পরকীয়া ছিলো। এ নিয়ে মেয়ের সাথে বাপ্পির অশান্তি শুরু হয়। বাপ্পি কারণে অকারণে তাকে মুখে গামছা বেধে মারপিট করতো, যাতে কেউ এটা বুঝতে না পারে। এ ঘটনার জের ধরে গত ১৫ দিন আগে বাপ্পি তার মেয়েকে অমানুষিক মারপিট করে এবং গোপনাঙ্গে টর্স লাইট ঢুকিয়ে দেয়। এরপর তাকে বাবা-মায়ের সাথে যোগাযোগ করতে দেয়নি। বুধবার সে কৌশলে অন্য লোকের মাধ্যমে মাকে বিষয়টি জানায়। পরে মা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে যশোর হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার এম আব্দুর রশিদ বলেন, ঘটনাটি খুবই স্পর্শকাতর। তাকে গাইনি ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষা নিরীক্ষা না করে এ বিষয়ে কিছুই বলা যাচ্ছে না।
খুলনা গেজেট/ টি আই