দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন যশোরের বিভিন্নস্থানে সহিংসতায় ৯ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় তাদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলো, শহরের শংকরপুর এলাকার মারুফ হোসেন, ঝিকরগাছা উপজেলার মাটিকুমড়া গ্রামের রুবেল হোসেন, বাদশা মিয়া, মণিরামপুরের হেলাঞ্চী কৃষ্ণবাটি গ্রামের সাধন কুমার, মশিউর রহমান, বেনাপোল পৌর এলাকার জুয়েল, শাওন, উজ্বল, যশোর শহরের ঘোপ জেল রোড এলাকার আসাদ।
শংকরপুর এলাকার আহত মারুফ হোসেন জানান, তিনি সকাল ৭ টায় শংকরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী ডিউটি করছিলেন। এসময় সেখানে দুর্বৃত্তরা ১ টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
ঝিকরগাছায় আহত রুবেল হোসেন জানান, সকালে তিনিসহ তার নেতাকর্মীরা ঝিকরগাছা আন্দোলপোতা মাটিকোমড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী কাজ করছিলেন। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীরা রুবেল ও বাদশা মিয়াকে ছুরিকাঘাত করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে দুপুরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে রেফার করে।
মণিরামপুরে আহত সাধন কুমার জানান, হেলাঞ্চী কৃষ্ণবাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তারা স্বতন্ত্র প্রাথী ঈগল প্রতীকের কাজ করছিলেন। এ সময় প্রতিপক্ষের কর্মীরা তাকে ও মশিউর রহমানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। প্রথমে তাদের মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে মশিউর রহমানের অবস্থার অবনতি হলে দুপুরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়।
বেনাপোল পৌর এলাকার আহত জুয়েল জানান, তারা বেনাপোল মহিলা সিনিয়র মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে নৌকার পক্ষে কাজ করছিলেন। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমার্থকরা জুয়েল, শাওন ও উজ্বলকে ছুরিকাঘাতে জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
এদিকে, একই দিন সকালে যশোর শহরের ঘোপ জেল রোড এলাকায় আসাদ নৌকার পক্ষে কাজ করছিলেন। দুপুর ১২ টার দিকে তিনি বিএড কলেজ কেন্দ্রে যান। এ সময় একই পক্ষের দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে তিনি জখম হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ঠ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমান তিনি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এসব ব্যাপারে আনসার ও ভিডিপি যশোরের সহকারী কমান্ডিং অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেছেন, কয়েকটি ঘটনায় আনসার সদস্যরা সমস্যায় পড়েছেন। তাদের একজন সদস্য আহত হয়েছেন। এসব ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে কথা হয়েছে,। অনাকাঙ্খিত ঘটনার ব্যাপারে যশোর কোতোয়ালি পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, তার কাছে এখন পর্যন্ত এসব বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ কেউ করেননি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিছিন্ন কিছু ঘটনা আমলে নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনায় জড়িতদের আটককের আওতায় আনা হবে।
খুলনা গেজেট/ এএজে