খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১৮ মে, ২০২৪

Breaking News

  করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ১১
  তিন জেলায় বজ্রপাতে প্রাণ গেল ৭ জনের
  রাঙামাটিতে সশস্ত্র হামলায় ইউপিডিএফ সদস্যসহ নিহত ২
  সাতক্ষীরার তালায় ধানের ট্রাক উল্টে ২ শ্রমিক নিহত, আহত আরও ১১ জন

যশোরে নরসুন্দর চঞ্চল হত্যা, পুনঃতদন্তে সিআইডি

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরের কেশবপুরে নরসুন্দর চঞ্চল দাস হত্যা মামলা সিআইডি পুলিশকে পুনঃতদন্তের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল চার্জশিটের উপর বাদীর নারাজি আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দিয়েছেন।

এর আগে পিবিআই তদন্ত করে দু’জনকে অভিযুক্ত ও একজনের অব্যহতি চেয়ে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছিল।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, চঞ্চল দাস পেশায় নরসুন্দর। ২০২২ সালের ৩০ জুন সন্ধ্যায় পর চঞ্চলের মোবাইলে একটি ফোন আসে। কল পেয়ে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। হঠাৎ রাত নয়টার পর প্রতিবেশী বিকাশের বাড়িতে হৈচৈ শুনে চঞ্চলের পিতা গিয়ে দেখেন তার ছেলে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় বিকাশের উঠানে ছটফট করছে। চঞ্চলের গলা ও পেট কাটা অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে কেশবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়।

অবস্থার অবনতি হলে খুলনায় নেয়ার পথে চঞ্চল মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতের পিতা কার্তিক দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে কেশবপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলাটি প্রথমে থানা ও পরে পিবিআই তদন্তের দায়িত্ব পায়।

হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আনন্দ দাস ও তার ছেলে সুদেব দাস এবং পিন্টু দাসের ছেলে সুমন দাসকে আটক করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

সুদেবের বোনকে উত্যক্ত করতে নিষেধ করা সত্তে ও চঞ্চল কর্ণপাত না করায় পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছিল বলে তারা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছিলেন।

আসামিদের দেয়া জবানবন্দি ও সাক্ষীদের বক্তব্যে হত্যার সাথে জড়িত থাকায় ওই দু’জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

অভিযুক্ত আসামিরা হলেন, উপজেলার মজিদপুর গ্রামের আনন্দ দাসের ছেলে সুদেব দাস ও পিন্টু দাসের ছেলে সুমন দাস।
হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় অভিযুক্ত সুদেব দাসের পিতা সুমন দাসের অব্যাহতির আবেদন করা হয় চার্জশিটে।

এ চার্জশিটের উপর নারাজি আবেদন করেন মামলার বাদী নিহতের পিতা কার্তিক দাস। এরপর আবেদনের উপর শুনানি শেষে বিচারক নারাজি আবেদন মঞ্জুর করে সিআইডি পুলিশকে পুনঃতদন্তের আদেশ দিয়েছেন।

খুলনা গেজেট/ এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!