যশোরের টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে নারী-পুরুষের ঢল অব্যাহত রয়েছে। যতদিন যাচ্ছে মানুষ ততোবেশি টিকা গ্রহণে উৎসাহী হয়ে উঠছেন। গত একমাসে জেলার দেড় লক্ষাধিক মানুষ টিকা গ্রহণ করেছেন। বর্তমানে জেলায় পর্যাপ্ত টিকার মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। শুক্রবারও এসেছে সিনোফার্মের ২৭ হাজার ৬শ’ ডোজ টিকা।
সূত্র জানায়, চলতি বছরের মার্চ মাস নাগাদ দেশে করোনা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটে। এসময়ে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে। এক পর্যায়ে সরকার গত ১২ জুলাই থেকে সারাদেশে করোনারোধী গণটিকা কার্যক্রম শুরু করে। এ টিকাদানে যশোরের মানুষ স্বত:স্ফূর্তভাবে সাড়া দেয়ায় বর্তমানে তা উৎসবে রূপ নিয়েছে।
গত একমাসে জেলায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ উৎসবে শরীক হয়ে টিকা গ্রহণ করেছেন এক লাখ ৫৮ হাজার ৯৮৬ জন নারী-পুরুষ। এরমধ্যে চীনের তৈরি সিনোফার্মের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন এক লাখ ৫২ হাজার ৬৩ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ছয় হাজার ৯২৩ জন। এরপরেও টিকা গ্রহণের অপেক্ষায় রয়েছেন আরো দেড় লক্ষাধিক মানুষ। ইতিমধ্যে তারা সুরক্ষা অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করে ম্যাসেজ প্রাপ্তির অপেক্ষায় রয়েছেন।
এদিকে, স্বাস্থ্য বিভাগ বলেছে যশোরে পর্যাপ্ত টিকার মজুদ রয়েছে। চলতি বছরে যশোরে চীনের তৈরি সিনোফার্মের ও জাপানের তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকার মোট টিকা এসেছে এক লাখ ৯২ হাজার ৪শ’ ডোজ। এরমধ্যে জেলার দেড় লক্ষাধিক মানুষের মাঝে প্রয়োগ করার পরও মজুদ রয়েছে ৩৩ হাজার ৪১৪ ডোজ।
শুক্রবারও টিকার একটি বড় চালান যশোরে এসেছে। এদিন সকাল ৬টায় ২৭ হাজার ৬শ’ ডোজ টিকা গ্রহণ করেন সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহীন। ঢাকা থেকে আসা ফ্রিজার ভ্যান থেকে এ টিকা গ্রহণ করার পর যশোর ইপিআই টিকা সংরক্ষাণাগারে মজুদ রাখা হয়েছে। এখান থেকেই জেলাব্যাপী টিকা সরবরাহ করা হয় বলে জানিয়েছেন সিএস শেখ আবু শাহীন।
তিনি বলেন, যশোরে করোনারোধী টিকার কোন কমতি নেই। স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষের মাঝে এ টিকা প্রয়োগ করা হচ্ছে। জেলাব্যাপী মানুষের প্রতিদিনই টিকাকেন্দ্রে উপস্থিতির কারণে এ নিয়ে তাদেরকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তারপরও তারা দুর্যোগ পরিস্থিতিতে মানুষকে ভালো রাখতে এ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। যশোর স্বাস্থ্য বিভাগ জেলার সব মানুষকে টিকার আওতায় আনতে কাজ করে যাচ্ছেন বলে তিনি জানান।