যশোরে ট্রাক মালিক রেজাউল করিম হত্যার ঘটনায় বুধবার নিহতের স্ত্রী হাসিনা বেগম তার ট্রাকের হেলপার হৃদয়ের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন। হৃদয় গাজীপুর জেলার টঙ্গী উপজেলার খরতৈল ব্যাংকপাড়ার মোহাম্মদ জসিমের ছেলে।
নিহতের স্ত্রী হাসিনা বেগম মামলায় উল্লেখ করেছেন, তার স্বামীর ট্রাক (ঢাকা মেট্টো-ট-১৬-৮৬৪৪) নিজেই চালাতেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে তিনি ভাড়ায় ট্রাক চালিয়ে যেতেন। গত ৩০ মে দুপুর আড়াইটার দিকে তার স্বামী রেজাউল করিম ট্রাক নিয়ে বরিশাল থেকে রওনা হন। এরপর প্রতিদিনই স্বামীর সাথে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হতো। গত ২০ জুন রাত ১০টার দিকে স্বামীর সাথে মোবাইল ফোনে ভিডিওকলের মাধ্যমে স্ত্রীসহ পরিবারের অন্যদের কথা হয়। তখন তার স্বামী জানিয়েছিলেন, তিনি এখন বর্ডার এলাকায় আছেন, কোন ট্রিপ নেই। এখান থেকে রাতে যশোরের নওয়াপাড়ায় যাবেন। সেখান থেকে কাঁঠাল নিয়ে বরিশালে ফিরবেন। এ কথা শুনে স্ত্রী তাকে রাতে বের না হওয়ার কথা বললে রেজাউল করিম বলেন, রাতে ট্রাকের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়বেন। সকালে কাঁঠাল নিয়ে রওনা হবেন। এরপর ২১ জুন সকাল পৌন ৮টার দিকে স্ত্রী হাসিনা বেগম স্বামীর সাথে কথা বলার জন্য মোবাইলে ফোন দিলে বন্ধ পান। এরপর তিনি ওইদিন বেলা সাড়ে ১১ টায় পুলিশের মাধ্যমে তার স্বামীর লাশ বসুন্দিয়ার বন্দবিলার একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছে বলে জানতে পারেন। পরে তিনি যশোরে এসে তার স্বামীর লাশ শনাক্ত করেন। তার ধারণা, ২০ জুন রাত ১০ টা থেকে ২১ জুন সকাল ৭টার মধ্যে হেলপার হৃদয় তার সহযোগীদের নিয়ে রেজাউল করিমকে হত্যা করে লাশ পুকুরের মধ্যে ফেলে দিয়ে ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ এখনও ট্রাকটি উদ্ধার করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে কোতয়ালি থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শেখ মনিরুজ্জামান জানান, আসামি আটকের চেষ্টা চলছে। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/ আ হ আ