যশোরে আওয়ামী লীগের জনসভামঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন দলটওর সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ২ টা ৩৮ মিনিটে তিনি জনসভামঞ্চে ওঠেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী আসার আগেই জনসভাস্থলে নেতাকর্মীদের ঢল নামে। সকাল থেকে নেতাকর্মীরা জনসভাস্থলে আসতে শুরু করে। বেলা ১২টার মধ্যে জনসভাস্থল জনসমুদ্রে পরিণত হয়। ইতোমধ্যে জনসভাস্থল যশোর জেলা স্টেডিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। বিকেলে জনসভায় বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে আনন্দ-উচ্ছ্বাসের সঙ্গে নেতাকর্মীদের আসতে দেখা যায়। জনসভাস্থল পেরিয়ে আশপাশের এলাকা লোকে-লোকারণ্য হয়ে উঠেছে। উৎসবমুখর হয়েছে উঠেছে পুরো শহর।
স্লোগানে স্লোগানে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানানোর অপেক্ষার প্রহর গুনছে লাখো জনতা। প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আগত জনস্রোত এখন জনসভার মাঠে। ধারণা করা হচ্ছে, ১০ থেকে ১২ লাখ মানুষের জনসমাগম ঘটবে।
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, শেখ হাসিনার জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত করার জন্য বেশ কয়েকদিন ধরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। সেই পরিশ্রমের সার্থকতা প্রমাণ হওয়ার পথে। ইতোমধ্যে জনসভার মাঠ ভরে গেছে। আশা করছি, ১০ লাখের উপরে লোক আসবে।
প্রসঙ্গত, আজ বৃহস্পতিবার সকালে হেলিকপ্টারযোগে যশোরে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যশোরে অবস্থিত বিএএফ একাডেমিতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। আজ দুপুরে যশোরের শামস উল হুদা স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগের আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রদানের কথা রয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দলীয় ব্যানারে ঢাকার বাইরে প্রধানমন্ত্রীর এটিই প্রথম জনসভা। প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে গোটা যশোর জেলা এখন নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা। বৃহত্তর যশোর জেলাসহ খুলনা বিভাগের ১০ জেলা থেকেও কয়েক লাখ নেতাকর্মী এ সমাবেশে যোগদান করেছেন।