যশোর ডিবি পুলিশ যশোর, মাগুরা, ফরিদপুর জেলায় অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় উদ্ধার হয় ৯ টি চোরাই মোটরসাইকেল ও চুরির কাজে ব্যবহৃত ১২ টি মাস্টার চাবি।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, খুলনার ফুলতলা উপজেলার গাড়াখোলা গ্রামের মৃত জাকির হোসেনের ছেলে বর্তমানে উপশহর এ ব্লক মসজিদ গলির আক্তার হোসেন (৪১), যশোর সদরের নরেন্দ্রপুর শেখপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক শেখের ছেলে বর্তমানে রাজারহাট জেসমিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া শহিদুল ইসলাম শেখ ওরফে খোড়া শহীদ (৪০), সদরের বাহাদুরপুর গ্রামের মৃত আবু সাইদের ছেলে শুকুর আলী রানা (২৮), খোলাডাঙ্গা তেলে পুকুর গ্রামের তৈয়ব আলী সরদারের ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন (২৬), নড়াইল জেলার লোহাগাড়া উপজেলার ব্রক্ষানী নগর গ্রামের গোলাম মোস্তফা শেখের ছেলে আল আমিন (৩০), বাঘারপাড়া উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের মৃত মাহাতাব শিকদারের ছেলে ইব্রাহিম শিকদার ওরফে খোড়া ইব্রাহিম (৩৮), মাগুরা জেলা সদরের বজরুক শ্রীকুন্ডি গ্রামের বর্তমানে মাগুরা জগদল কলেজপাড়ার সজীব শেখ (২২), মাগুরা জেলার মোহম্মদপুর উপজেলার জামা দেওলী গ্রামের মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে সুজন (২২), একই জেলার বজরুক শ্রীকুন্ডি ঘোপডাঙ্গা গ্রামের সাখাওয়াত হোসেন ওরফে সাকু মোল্লার ছেলে নয়ন মোল্লা (২৮) ও গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি উপজেলার জোনাসোর গ্রামের সৈয়দ কাজির ছেলে মুন্না কাজি (২০)।
ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকার জানান, এল আইসি শাখার কন্সটেবল আব্দুল বাতেনের তথ্যের ভিত্তিতে ডিবির দুইটি টিম যৌথভাবে ৩০ জুলাই সন্ধ্যায় উপশহর ডিগ্রি কলেজ মাঠে অভিযান পরিচালনা করে আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের ৭ সদস্য, ৬ টি মোটরসাইকেল ও চোরাই কাজে ব্যবহৃত মাস্টার চাবিসহ হাতেনাতে আটক করে।
পরে আটককৃতদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ি মাগুরা ও ফরিদপুর জেলায় অভিযান পরিচালনা করে কেশবপুরের ত্রিমোহনী থেকে চুরি হওয়া ১টি পালসার মোটরসাইকলেসহ মোট ৯টি চোরাই মোটরসাইকেল, ১২ টি মাস্টার চাবি উদ্ধারসহ ১০ জন মোটরসাইকেল চোরচক্রের সদস্যকে আটক করা হয়।
মোটরসাইকেল উদ্ধার ও চোরচক্রের সদস্যদের আটকের ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই