যশোরের কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের বিশ্বাসের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে দূর্বৃত্তরা। ১২/১৪ টি মোটরসাইকেলে ৩০/৪০ জন এসে দুইতলা আলিশান বাড়ির নিচতলায় ভাংচুর করে। পরে চেয়ারম্যানের বাড়ির উঠানে থাকা চারটি ধানের গোলায় আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় । ঘটনাটি ঘটেছে রোববার রাত ১১ টার দিকে। পরে স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি বলে স্থানীয়রা জানান।
চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের বিশ্বাস জানান, তিনি স্ত্রী, ছেলে ও ছেলের স্ত্রীকে নিয়ে রাতে বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। রাত ১১টার দিকে একদল দূর্বৃত্ত দেশিয় অস্ত্র নিয়ে তার বাড়িতে হামলা চালায়। তারা বাড়ি ভাঙচুর শুরু করে। তাদের মধ্যে কয়েকজন যেয়ে বাড়ি উঠানে থাকা চারটি ধানের গোলায় আগুন ধরিয়ে জালিয়ে দেয়। একই সাথে তার উঠানে থাকা একটি স্যালো মেশিন, গ্যাসের সিলিন্ডার ও ২০টি পাম্প মেশিনেও আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। পরে আশপাশের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। অল্পের জন্য তার বাড়িঘর আগুনের হাত থেকে রেহায় পায়। এ ঘটনার সাথে কারা জড়িত জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি কিছুই বলবো না। আমি আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম বলে এ বিষয়ে তিনি আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, খবর শুনে সেকেন্ড অফিসার মোকলেসের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেছে। এখনি কিছু বলতে পারছি না।
এ বিষয়ে কেশবপুর থানার সেকেন্ড অফিসার মোকলেসুর রহমান জানান, তার বাড়ির নিচতলায় ঘরের জানালা ও দরজা ভাংচুর করে । বাড়ির সামনে চারটি ড্রামে তেল ছিলো। ওই তেলে আগুন ধরিয়ে দিলেই ধানের গোলায় আগুন ধরে যায়। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে দূর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। কারা এ ঘটনার সাথে জড়িত সে বিষয়ে চেয়ারম্যান মুখ খুলছেন না। বিষয়টি নিয়ে তারা তদন্ত শুরু করেছেন।
ফায়ার সার্ভিস কেশবপুর স্টেশন ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম জানান, খবর পেয়ে তার নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। নয় কিলোমিটার যাওয়ার পর জানতে পারেন আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। পরে টিম নিয়ে তারা স্টেশনে ফেরত আসেন।
উল্লেখ্য, আব্দুল কাদের বিশ্বাস ১৯৯৬ সাল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি সাদেক সাহেবের হাত ধরে রাজনীতিতে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি মঙ্গলকোট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তবে, আওয়ামী লীগে তার কোনো পদ নেই। সরকার পতনের পর তাকে নিয়ে চলছিলো নানা আলোচনা।
খুলনা গেজেট/এনএম