যশোরের বোলপুর গ্রামের চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী ও একাধিক মামলার আসামি মনিরুলের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতের শিকার সিএনজি চালক রাশেদ আহমেদ (২৮) মারা গেছেন। ৩১ আগস্ট খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাড়ি ফেরার পর রাতে তিনি মারা যান। স্থানীয়রা এ হত্যায় জড়িত একাধিক মামলার আসামি মনিরুল ও তার সহযোগিদর দ্রæত আটক দাবি করেছেন।
থানা ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, যশোর সদর উপজেলার বোলপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে রাশেদ আহমেদ (২৮) সিএনজি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। একই গ্রামের সুদখোর খোকনের ছেলে আলোচিত মাদক কারবারী মনিরুল ইসলাম কারণে অকারণে তার কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছিল। এছাড়া তার সিএনজিটি নিজের দখলে নেয়ার ফন্দি আটতে থাকে। এ নিয়ে হুমকির পর গত ১৯ আগস্ট রাত ৮ টা দিকে বোলপুর ব্রিজের পাশে পেয়ে চালক রাশেদের উপর চড়াও হয় মনিরুল চক্র। এসময় মনিরুল সিএনজি চালক রাশেদকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। তার চিৎকারে একই গ্রামের আবু জাফরের ছেলে সাগর এগিয়ে আসলে তাকেও ছুরিকাঘাত করে মনিরুল।
গুরুতর অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখানে তার অবস্থার অবনিত হলে ২০ আগস্ট গভীররাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। এখানে চিকিৎসা শেষে ৩১ আগস্ট তাকে রিলিজ দেয়া হয়। পরে বাড়ি ফেরার পর রাতে তার অবস্থা ফের অবনতি হয়। এক পর্যায়ে নিথর হয়ে পড়ে যান রাশেদ। অচেতন অবস্থায় রাত সাড়ে ৮টায় তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
গ্রামবাসীর দাবি, খুনী মাদক কারবারী মনিরুল এলাকায় অবৈধ মাদক গাঁজা ব্যবসার আড়ৎদার। মাদক ব্যবসার জন্য এ যাবত সে ৪ বার আটক হয়েছে। সর্বশেষ কয়েক সপ্তাহ আগেও সে বেনাপোলে আটক হয় গাঁজাসহ। সম্প্রতি সে জেল খেটে বেরিয়েছে। এরপর সে খুনের ঘটনা ঘটালো। এ কারণে গ্রামবাসী চিহিৃত মাদক কারবারি মনিরুলকে দ্রুত আটকের দাবি জানিয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেএম