যশোরের বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামে বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ নেতা সাব্বির আহমেদ রাসেল হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করেছে ডিবি পুলিশ। এতে ২৯ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া চার্জশিটে দু’জনকে অব্যাহতির সুপারিশসহ বয়স বিচারে ৩ জনকে শিশু বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় সদর উপজেলার বালিয়া ভেকুটিয়ার আওয়ামী লীগ নেতা সালেক মৃধার সামনেই তার ছেলে বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ যশোরের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ রাসেলকে গলা কেটে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। অপর ছেলে আল আমিনকে তারা কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ ঘটনায় ১৬ এপ্রিল রাতে পিতা সালেক মৃধা এলাকার চিহ্নিত ২৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এরা হলো, বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুজ্জামান শাহীদ, মাঠপাড়ার সামিরুল ইসলাম, মাধঘোপপাড়ার পিচ্চি বাবু, শাহিন, শ্মশানপাড়ার সোহাগ, সাগর ও সোহেল, জনি, সেলিম, আমির হোসেন, শামীম, বাঁশবাড়িয়া গ্রামের শান্ত, আজাদ, আশিক, চাঁদপুর গ্রামের ওমর আলী, বালিয়া ভেকুটিয়ার ইমদাদুল হক, মাধঘোপপাড়ার খায়রুল ইসলাম, হাসিব, সবুজ হোসেন, রেজাউল ইসলাম, পাকদিয়া গ্রামের আলমগীর হোসেন, বাঁশবাড়িয়া গ্রামের রমজান আলী সরদার, বড় ভেকুটিয়া গ্রামের এনামুল এবং মতিয়ার রহমানসহ অজ্ঞাত ৭/৮ জন।
মামলাটি প্রথমে তদন্ত করেন যশোর কোতোয়ালি থানার ইন্সপেক্টর অপারেশন আহসান উল্লাহ চৌধুরী ও পরে এসআই হায়াত মাহমুদ। মামলাটি অধিক গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় পাঠানো হয় জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবিতে। তদন্ত শুরু করেন ইন্সপেক্টর মাসুম কাজী। এজাহারভুক্ত ২৪ আসামি ছাড়াও হত্যায় জড়িত বলে পুলিশ আরো ৫ জনকে শনাক্ত করে। এরা হচ্ছে মফিজুর রহমান, আনিস, সাব্বির, মনিরুল ও নুরনবী। চার্জশিটভুক্ত ২৯ আসামির মধ্যে পুলিশ আটক করে ২২ জনকে। এখনও ৭ জন পলাতক আছে বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মাসুম কাজী জানান, স্বচ্ছতার সাথে রাসেল হত্যা মামলা তদন্ত করা হয়েছে। বাদীর দেয়া ২৪ আসামিসহ তদন্তে আসা আরো ৫জনকে যুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে আদালতে। তিনি আশা করছেন বাদী নিশ্চয় ন্যায় বিচার পাবেন।