যশোরে চাঁদা দাবি ও ছেলেকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে পাঁচজনকে আসামি করে বুধবার আদালতে মামলা করেছেন ফয়জুন্নাহার নামে এক নারী। তিনি শহরের শংকরপুর পশু হাসপাতাল এলাকার কাজী তৌহিদ হোসেনের স্ত্রী। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পলাশ কুমার দালাল অভিযোগ আমলে নিয়ে কোতোয়ালি থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
আসামিরা হলেন, চাঁচড়া রায়পাড়া সার গোডাউন এলাকার মৃত রুস্তম আলী মাতুব্বরের ছেলে নুর ইসলাম নুরু, তার ছেলে শরিফুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম, বাহাদুরের ছেলে হৃদয় ও আলী মিয়ার ছেলে বাপ্পী।
ফয়জুন্নাহারের অভিযোগ, তার ছেলে কাজী হাসিব ও কাজী রাকিব দু’জনই মাছ ব্যবসায়ী। আসামিরা বেশ কিছুদিন ধরে তার ছেলে কাজী হাসিবের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। এসময়ে বাধ্য হয়ে তিনি এক লাখ টাকা চাঁদা দেন। এরপর আসামিরা চাঁদার বাকি চার লাখ টাকা এক মাসের মধ্যে পরিশোধ করার জন্য হুমকি দেন। এরমধ্যে গত ৩ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাতটার দিকে শংকরপুর আলতাফের মোড়ে কাজী হাসিবকে পেয়ে আসামিরা তার ওপর চড়াও হন এবং চাঁদার চার লাখ টাকা দিতে বলেন। তখন কাজী হাসিব চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে আসামিরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। এছাড়া তার পকেটে থাকা ব্যবসার ৪৫ হাজার ৭শ’৫০ টাকা ও গলায় থাকা সোনার একটি চেন ছিনিয়ে নেয়। পরে স্থানীয়রা কাজী হাসিবকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় তিনি কোতোয়ালি থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ না নিয়ে ফিরিয়ে দেয়। এরপর তিনি আদালতে এ মামলাটি দায়ের করলেন।