যশোর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার শরিফুল ইসলাম খানের গাড়িচালক আব্দুল কুদ্দুন হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনার দু’দিন পর বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের স্ত্রী শামসুন্নাহার কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি করেছেন। এ মামলা চার জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও দু’জনকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিরা হলো, শহরের পুরাতন কসবা ঢাকা রোড বাঁশতলা স’মিল এলাকারা আব্দুস সাত্তারের ছেলে সেলিম (৩৫), পুরাতন কসবা বিবি রোড আমবাগান এলাকার আমির হোসেনের ছেলে সম্রাট (২৬), আব্দুর রহিমের ছেলে শফিকুল ইসলাম শফি (৪০) ও মণিরামপুর উপজেলার গালদা দক্ষিণপাড়ার আকবর আলীর ছেলে কামরুল ইসলাম (৪১)।
মামলায় শামসুন্নাহার বলেন, আসামি সেলিম তার বড়ছেলে ইসরাইল খান বিপ্লবের পূর্ব পরিচিত। দুধের ব্যবসা করার কথা বলে আট মাস আগে বিপ্লবের কাছ থেকে ৪৪ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন সেলিম। কিন্তু ধারের টাকা চাইলে সেলিম তার ছেলে ও স্বামীকে নানাভাবে ঘোরাতে থাকেন। একপর্যায়ে গত ৩ নভেম্বর দুপুর ২টার দিকে সেলিম তার স্বামীকে মোবাইল ফোন করে ধারের টাকা নিয়ে যেতে বলেন। এ খবর পেয়ে বেলা ২টা ২০ মিনিটের দিকে তার স্বামী বাইসাইকেলে করে পুরাতন কসবা ঢাকা রোডের জনৈক ইন্তালের চায়ের দোকানের সামনে যান সেলিমের কাছ থেকে টাকা আনতে। এরপরই তিনি ও তার ছেলে বিপ্লব ইজিবাইকে করে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে ধারের টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আসামি সম্রাট তার স্বামীর বুকে ছুরিকাঘাত করেন। তার স্বামীকে এ সময় আসামি সেলিম ও শফিকে ধরে রেখেছিলেন। বিপ্লব তার বাবাকে রক্ষা করতে গেলে কামরুল তাকে জাপটে ধরেন। সাথে সাথে সম্রাট তাকেও ছুরিকাঘাত করে। পরে আসামিরা পালিয়ে যায। ওই সময় চিৎকার চেঁচামেচি শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসেন। গুরুতর জখম স্বামী ও ছেলেকে উদ্ধার করে যশোর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৭টার দিকে তার স্বামী মারা যান।
খুলনা গেজেট/ এ হোসেন