যশোরে বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণ। বর্তমানে এ পরিস্থিতি ভয়াবহ দিকে মোড় নিচ্ছে। ইতিমধ্যে রেডজোনে অন্তভূক্ত হয়েছে যশোর জেলা। গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ৬৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সিভিল সার্জন ডাক্তার বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস যশোর জেনারেল হাসপাতালের রেড, ইয়োলো ও আইসিইউ পরিদর্শন করে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন।
হাসপাতালের তত্বাধায়ক ডাক্তার আখতারুজ্জামান জানান, করোনাভাইরাস প্রতিরোধসহ আক্রান্তদের চিকিৎসার স্বার্থে হাসপাতালের রেডজোনে (নারী-পুরুষ) একশ’ ৪৬টি ও ইয়োলোজোনে ২২টি শয্যা প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়াও করোনা রোগীর উন্নত চিকিৎসার জন্যে আইসিইউতে তিনটি বেড খালি করা হয়েছে। হাসপাতালে বর্তমান অক্সিজেনের কোন সংকট নেই। করোনার সার্বিক প্ররিস্থিতি মোকাবেলায় হাসপাতাল প্রস্তুত রয়েছে।
এসব বিষয়ে সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস জানান, যশোর জেনারেল হাসপাতালে দুইশ’ ও জেলার সাতটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আরও একশ’জন করে অর্থাৎ আটশ’ জন করোনা রোগীর চিকিৎসা দেয়ার জন্যও প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। যদি যশোরে ভাইরাসের সংক্রমন ঘটে তাহলে জেনারেল হাসপাতালের পৃথক ওয়ার্ডের ১০টি বিশেষ কেবিন ও বক্ষব্যাধি হাসপাতালের ৪০ শয্যার পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতাল ভাড়া নিয়ে রোগীর সেবা দেয়া হবে। করোনা মোকাবেলায় হাসপাতালে ডাক্তার ও নার্স প্রস্তুত রয়েছে। এদিন তিনি হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড ওয়ার্ড পরির্দশন করে করোনা সংক্রমণ মোকাবেলায় কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছেন। এরই প্রেক্ষিতে ডাক্তার, নার্স ও ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হয়েছে। একইসাথে ধোঁয়া মোছা করে ওয়ার্ডগুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। একই নির্দেশনা তিনি যশোরের আটটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধানদের বুধবার দিয়েছেন। এ উপজেলা হাসপাতালগুলোও এখন প্রস্তুত রয়েছে।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় যশোরে ৬৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারে ৯০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়ও ৯২ জনের র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ৩৯ জনের শনাক্ত হয়। এ পর্যন্ত জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ২২ হাজার তিনশ’ একজনের। সুস্থ হয়েছেন ২১ হাজার তিনশ’ ৯৯ জন। মৃত্যু হয়েছে পাঁচশ’ ১৭ জনের।