যশোরে মানুষের কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। বুধবার যশোর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বাবুল কিশোর সাহাকে প্রধান করে তিন সদস্যের এ কমিটি গঠন করা হয়। একই সাথে উদ্ধার হওয়া কঙ্কালটি ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এরপর আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে ওই কঙ্কালটি দাফন করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ মে দুপুরে যশোর শহরের পুরাতন কসবা কাজীপাড়া নিরিবিলি এলাকায় বন্ধ ড্রামের ভেতর থেকে একটি কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিন দুপুরে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ এলাকার বজলুর রহমানের পরিত্যক্ত জমি থেকে ওই কঙ্কাল উদ্ধার করে। যেখানে বাড়ি নির্মাণ করার জন্য পাইলিংয়ের গর্ত খোড়া হচ্ছিল।
স্থানীয়রা জানান, বেনাপোলের শাঁখারিপোতা গ্রামের অকসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা বজলুর রহমান আড়াই বছর আগে মশিউর রহমান নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ওই জমি কেনেন। এ জমির মালিকের আগের মালিক ছিলেন আজিজুল হক বুকড়া। আর আজিজুল হক বুকড়ার মেয়ের জামাই মশিউর রহমান। স¤প্রতি বজলুর রহমান ওই জমিতে বাড়ি নির্মাণের কাজ করছিলেন। ৩০ মে পাইলিং করতে গিয়ে মাটির নিচে পাত কুয়ার ভেতরে একটি ড্রামের সন্ধান পায় শ্রমিকরা। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ড্রাম খুলে মানুষের কঙ্কাল উদ্ধার করে।
ওই জমিতে কাজ করা শ্রমিক নুরুন্নবী এবং আব্দুস ছাত্তার জানান, তারা পাইলিং এর সময় নীল রঙের ড্রামটি দেখতে পান। ওই ড্রামের ভেতরে ও আশপাশে চুন দেয়া ছিলো। দুর্গন্ধ পেয়ে তাদের সন্দেহ হয়। তারা প্রথমে জমির মালিক বজলুর রহমানকে জানান।
এ ব্যাপারে জমির মালিক বেনাপোলের বজলুর রহমান জানান, আড়াই বছর আগে সোয়া চার শতক জমিটি তিনি ক্রয় করেন। কিছুদিন ধরে তিনি নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এদিন শ্রমিকদের মাধ্যমে তিনি কঙ্কাল উদ্ধারের খবরটি জানতে পারেন।
কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, ওই কঙ্কাল উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছিলো। বুধবার ডিএনএ পরীক্ষার জন্য কঙ্কাল থেকে আলামত সংগ্রহ করে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের কাছে দাফন করতে দেয়া হয়েছে। তারা দাফন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে।
এদিকে, কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যশোর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বাবুল কিশোর সাহার নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আব্দুস সামাদ ও ডাক্তার আব্দুর রশিদ।