যশোর সদর আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের ডিও (সুপারিশপত্র) জালিয়াতির অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন যশোর শহরের ঘোপ জেল রোডের মৃত একেএম কাশেমের ছেলে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপশহর আলীম মাদ্রাসার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন। মামলায় উপশহর আলীম মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ (সাময়িক বহিস্কৃত) চারজনকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন উপশহর আলীম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ (সাময়িক বহিস্কৃত) জাকারিয়া হোসেন, নতুন উপশহরের রজনীগন্ধা পাম্প এলাকার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে নুরুল ইসলাম, উপশহর আলিম মাদ্রাসার বাংলার প্রভাষক আব্দুল ওহাব ও সহকারি মৌলভী শিক্ষক মফিজুর রহমান। এছাড়াও অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় বাদী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন উল্লেখ করেন, আসামিরা যোগসাজসে গত ১০ আগস্ট উপশহর সি-ব্লকের শওকত হোসেনকে সভাপতিসহ তিন সদস্যের একটি কমিটির তালিকা প্রস্তুত করে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে সুপারিশপত্র পাঠায়। ওই তালিকায় মাধ্যমে যশোর সদর আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের প্যাড, সিল ও স্বাক্ষর জাল করা হয়। ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ বহিস্কৃত থাকায় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা ব্যবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে।
গত ১৮ আগস্ট বাদী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনকে সভাপতি করার জন্য একটি ডিও লেটার প্রদান করেন এমপি কাজী নাবিল আহমেদ। ওই ডিও লেটারের ভিত্তিতে শহিদুল ইসলাম মিলন সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এর মাঝে আসামিরা যোগসাজসে শহিদুল ইসলাম মিলনের বিরুদ্ধে জাল ডিও লিটার উপস্থাপন করে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন করেন। যার নম্বর ৯৮১৬/২০২১। এরপর বিষয়টি জানাজানি হয়। এ ঘটনা জানতে পেরে সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ এ মামলা করার ক্ষমতা বাদীকে অর্পণ করেন। এরই প্রেক্ষিতে বাদী কোতোয়ালি থানায় এ মামলা করেন।
খুলনা গেজেট/এনএম