করোনায় ঘরে থাকার অভ্যাস কাটেনি যশোরের শিক্ষার্থীদের। এবারের এইচএসসির ফলাফল নিতে বেশিরভাগ পরীক্ষার্থী নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যায়নি। ফলে শহরের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনার্স প্রথম বা দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এইচএসসির ফলাফল প্রাপ্তি উদযাপন করেছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই মোবাইল ফোনে তাদের ফলাফল পেয়ে গেছেন। এ কারণে তারা কলেজে আসেনি।
বুধবার যশোর শিক্ষাবোর্ডের ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। এতে সরকারি মাইকেল মধূসুদন কলেজের শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করেছে।
কলেজের অধ্যক্ষ মর্জিনা আক্তার বলেন, আমাদের কলেজ ভাল ফলাফল করেছে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায়। আর তা শতভাগ। আর ভাল খবর এই, ৭১০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬১২ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
যশোর সরকারি সিটি কলেজের অধ্যক্ষ জামশেদ আলী সর্দার বলেন, সিটি কলেজ থেকে এবার শতকরা ৯২.৯২ ভাগ পরীক্ষার্থী পাস করেছে। এবার ৭০৩ জন পরীক্ষার্থী ছিল এর মধ্যে পাশ করেছে ৬৬৫ জন। ফলাফল আশানুরুপ হয়েছে। ডিজিটাল যুগের কারণে মোবাইলে সকলে ফলাফল পেয়ে যাচ্ছে। এ জন্য শিক্ষার্থীরা ফলাফল নিতে কলেজে আসতে আগ্রহী হচ্ছেন না। এটা দোষের কিছু নয়। তবে ফলাফল নিয়ে কলেজে আনুষ্ঠানকিতা করা যাচ্ছে না।
ডা: আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যল কলেজের অধ্যক্ষ জে এম ইকবাল হোসেন বলেন, তার কলেজে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় পাশের হার ৮৯ ভাগের বেশি। ফলে এটিকে খারাপ বলার কোন উপায় নেই। তিনি আরও বলেন, এবার ৫৩১ জন পরীক্ষার্থী ছিল। এরমধ্যে পাস করেছে ৪৭৩ জন। এর মধ্যে জিপিএ ৫ অর্জন করেছে ৫০ জন। তবে ফলাফল নিতে মাত্র ৮/১০ জন শিক্ষার্থী এদিন কলেজ ক্যাম্পাসে উপস্থিত ছিল।
কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী কম আসায় পত্রিকা বা টেলিভিশনগুলোর সাংবাদিকরা ছবি বা ভিডিও করতে পারেননি।
বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন যশোর জেলা শাখার সভাপতি মনিরুজ্জামান মুনির বলেন, বর্তমান ডিজিটাল যুগে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে তাদের পরীক্ষার ফলাফল পেয়ে যায়। অন্যদিকে বিশ্বিবিদ্যালয়ে পড়ার জন্য জেলার বাইরে কোচিং করার জন্য তারা অবস্থান করছে। এজন্য এখন আর কলেজে শিক্ষার্থীদের পাওয়া যায় না। আমাদের বাস্তবতা মেনে নিতে হবে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড