বাঙালি সংস্কৃতি বিনির্মাণে এবং দেশের দুঃসময়ে উদীচী আলোর পথ দেখাচ্ছে। ১৯৬৮ সালে যে সংগঠনের বীজ রোপিত হয়েছিল, তার শেকড় এখন অনেক বিস্তৃত। ঘাত প্রতিঘাত উতরে ৫১ বছর পার করেছে উদীচী। বৃহস্পতিবার ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
‘দূর কর দুঃশাসন দুরাচার, জনতা জেগেছে যে দুর্বার’ এ মূলমন্ত্রে এবার অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সংগঠনটি। উদীচী যশোর কেন্দ্রীয় সংসদের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত বিকেলের আয়োজনের প্রথম পর্বে হয় আলোচনা।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহবুবুর রহমান মজনুর সভাপতিত্বে আলোচনা করেন যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি একরাম-উদ-দ্দৌলা, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন, শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদ হাসান বুলু, জেলা মহিলা পরিষদের সহসভাপতি আফরোজা বেগম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম খান দুলু, উদীচীর সহসভাপতি আব্দুল আফফান ভিক্টর ও আমিনুর রহমান হিরু। স্বাগত বক্তৃতা করেন উদীচীর সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান খান বিপ্লব। জাতীয় সঙ্গীত এবং উদীচী সঙ্গীতের মাধ্যমে পর্দা ওঠে সমগ্র আয়োজনের।
আলোচনা শেষে গণসঙ্গীত, একক গান, নৃত্য, আবৃত্তির সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যার প্রতিটি উপস্থাপনা ছিল বিশেষ বার্তাবাহী। উদীচীকর্মী আব্দুল আফফান ভিক্টর, শুভঙ্কর গুপ্ত, আফরোজা নাসরিন, কাজী শাহেদ নওয়াজের আবৃত্তি যেমন সকলের হৃদয়ে নাড়া দেয়, তেমনি গণসঙ্গীতের পাশাপাশি ওয়াজীহা তাসনিম, দেবাদৃতা মন্ডল, মুস্তাহিদ, সৃব্রত দাসের একক পরিবেশনাও ছিল চমকপ্রদ। সঞ্চালক লুবনা আফরোজ পাপ্পু ও শুভঙ্কর গুপ্ত তাদের কথামালায় তুলে ধরেন উদীচীর পথচলার কথা।
খুলনা গেজেট/কেএম