যশোরে ইন্সপেক্টর স্বামীর নির্যাতনের হয়েছেন এসআই স্ত্রী। এমনকি তাকে হত্যার চেষ্টাও চালিয়েছেন স্বামী। কিন্তু সন্তানরা এসে তাকে উদ্ধার করে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে। আহত এসআই শাহাজাদী আক্তার বাগেরহাট সদর উপজেলার কলাবাড়িয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মৃত আমির আলীর মেয়ে। তিনি বর্তমানে যশোর সদর কোর্ট জিআরও হিসেবে কর্মরত। আর হামলাকারী ইন্সপেক্টর কামরুজ্জামান খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার পদ্মবিলা গ্রামের সাত্তার ফকিরের ছেলে। তিনি বর্তমানে ঝিনাইদহ পিবিআইতে ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত। এরআগে তিনি যশোরের সাজীয়ালী ক্যাম্পের ইনচার্জ ছিলেন। আহত শাহাজাদী বর্তমানে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
আহত এসআই শাহাজাদী বলেন, শুক্রবার বিকেলে তার ভাড়াবাড়ি স্টেডিয়ামপাড়ায় আসেন কামরুজ্জামান। তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরমধ্যে টেবিলের উপর থেকে ফলকাটা চাকু নিয়ে তার পেটে আঘাত করে কামরুজ্জামান। সে সময় তিনি হাত দিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করেন। এতে হাতে ও তার পেটে রক্তাক্ত জখম হয়। এরপর কামরুজ্জামান তার মাথা আঘাত করে। তিনি চিৎকার দিলে অন্যরা ছুটে আসলে কামরুজ্জামান তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে তার ছেলে ও প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, কামরুজ্জামান প্রায় তার ও দুই ছেলেকে মারপিট করে। দীর্ঘদিন ধরে খোঁজখবর ও সংসারের খরচও দেন না।
এদিকে, ঘটনার পরই পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তারা হাসপাতালে শাহজাদীকে দেখতে আসেন।
এ বিষয়ে কোর্ট ইন্সপেক্টর রোকসানা পারভীন বলেন, শাহাজাদীর উপর হত্যা চেষ্টার খবর শুনে তিনি তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষেয় জানতে চাইলে ইন্সেপেক্টর কামরুজ্জামান বলেন, তিনি বাড়িতে গেলে শাহাজাদী তার সাথে দুর্ব্যবহার করেন। ফলে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। পরে জানতে পারেন শাহাজাদী আহত হয়েছেন। পরকীয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। এছাড়া তিনি অন্য কাউকেই বিয়ে করেননি বলে জানান।