যশোরের ফতেপুর ইউনিয়নে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী অপহরণ মামলায় এক যুবকের ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মারুফ হোসেন ওরফে মারুফ মোল্লা বাঘারপাড়া উপজেলার রাধানগর গ্রামের কুবাদ আলীর ছেলে ও যশোর সদরের ফতেপুর ইউনিয়নের চাঁদপাড়া গ্রামের ইউসুপ আলী মোল্লার জামাই। সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক টিএম মুসা এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট সেতারা খাতুন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার বাউলিয়া বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী মইনুল ইসলামের মেয়ে চাঁদপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী সীমা খাতুনকে প্রায়ই উত্যক্ত করতো আসামি মারুফ। স্কুলে যাওয়া আসার পথে অশোভন কথাবার্তাসহ অপহরণের হুমকিও দিতেন মারুফ। বিষয়টি সীমা তার পরিবারকে জানায়। এতে মারুফ আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
এরই জের ধরে ২০০৯ সালের ১৭ অক্টোবর বিকেলে সীমার কাছে বাজারের ব্যাগ দিয়ে বাড়ি পাঠায় পিতা মইনুল। পথে চাঁদপাড়া নুর আলীর বাড়ির সামনে পৌছালে মারুফ সীমাকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরে মেয়েকে খোজাখুজি করে না পাওয়ায় পিতা বাদী হয়ে ২০০৯ সালের ২০ অক্টোবর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলার পর সীমাকে উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর মামলাটি তদন্ত করে কোতোয়ালি থানার এস আই কবীরুল ইসলাম মারুফ মোল্লাকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। মামলায় ৬জন সাক্ষীর সাক্ষগ্রহণ শেষে সোমবার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত। আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন