যশোরের মণিরামপুরে স্যাটেলাইট কেবল লাইনের দু’কর্মী খুন হয়েছেন। তাদেরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার ঢাকুরিয়া উত্তরপাড়ায় লোমহর্ষক এ জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে। নিহত দু’জন হলেন, যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া জয়ন্তা গ্রামের আক্তার গাজীর ছেলে বাদল (২৫) ও নিকমল মোল্লার ছেলে আহাদ (৩০)।
সন্ত্রাসীরা তাদেরকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে মণিরামপুর ও কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দুটি উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। কিন্তু কি কারণে তাদেরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে, সেটা তাৎক্ষনিবভাবে পুলিশ ও গ্রামবাসী জানাতে পারেনি।
তবে স্থানীয় একটি সূত্র বলেছে, ডিশ ব্যবসার দ্বন্দ্বের কারণে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলের পাশের বাড়ির বাসিন্দা নাসির বিশ্বাস বলেন, সন্ধ্যার কিছু পরে আমি বাড়ির উঠানে বসে ছিলাম। তখন রক্তাক্ত একজন দৌঁড়ে এসে বলে, ‘চাচা, আমারে বাঁচান।’ এই বলে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। তখন আমরা বাড়ির সবাই চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে নিয়ে ভ্যানে করে হাসপাতালে রওনা হয়। পথে সদর উপজেলার চাউলিয়া গেটে ওই ছেলেটির মৃত্যু হয়। পরে লোকজন এগিয়ে গিয়ে দেখে, আরেকজনের লাশ রাস্তায় পড়ে আছে।
নিহতদের স্বজনরা জানান, বাদল ক’দিন আগে নতুন মোটরসাইকেল কেনেন। ইন্টারনেট ব্যবসার পাশাপাশি তিনি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে বাদল ও আহাদ বসুন্দিয়া জয়ন্তা বাজারে ক্যারামবোর্ড খেলছিলেন। তখন বাদলের মোবাইলে কল এলে তারা দুইজন মোটরসাইকেলে চেপে বেরিয়ে পড়েন।
স্থানীয়দের ধারণা, মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে তাদের ডেকে এনে খুন করে দুর্বৃত্তরা। কিন্তু ঘটনাটি আশপাশের লোক দ্রুত টের পেয়ে যাওয়ায় তারা মোটরসাইকেল রাস্তার ওপর ফেলে পালিয়ে যায়।
মণিরামপুর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই দেবাশীষ বিশ্বাস বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। লাশ দুটি ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। হত্যার কারণ এখনো জানা যায়নি।
এ বিষয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাহউদ্দীন সিকদার বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশি অভিযান চলছে।
খুলনা গেজেট/এমবিএইচ/এমএম