চলতি এপ্রিল মাসজুড়ে যশোরের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় যশোরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ জানান, রোববার যশোরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া খুলনায় ৪০ ডিগ্রি, চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি, সাতক্ষীরায় ৪১ দশমিক ১ ডিগ্রি, মোংলায় ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি, কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি এবং পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
তীব্র দাবদাহে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের। বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। ঘরের বাইরে তীব্র দাবদাহের মধ্যে কাজ করতে গিয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
এদিকে রোববার সকালে যশোর সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের ছিলমপুর গ্রামে আহসান হাবীব নামের এক স্কুলশিক্ষক রোদের মধ্যে ধান কাটতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। তিনি সদর উপজেলার আমদাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তার পরিবারের সদস্যদের ধারণা অতিরিক্ত গরমে হিট স্ট্রোক করে তার মৃত্যু হয়েছে।
স্কুলশিক্ষকের বাবা ইউসুফ আলী মোল্লা জানান, সকালে তার ছেলে আহসান হাবীব রোদের মধ্যে মাঠে ধান কাটছিলেন। এমন সময় তাকে রোদে ধান কাটতে নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি শোনেননি। পরে ধান কেটে বাড়িতে ফিরে আহসান হাবীব অসুস্থ বোধ করেন। এ সময় বাড়ির লোকজন তার মাথা, হাত ও মুখে পানি দেয়। এরপর তিনি স্কুলে যাওয়ার সময় আরও তীব্র অসুস্থ বোধ করলে সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সে করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, পরিবারের সদস্যরা ধারণা করছেন হিট স্ট্রোকে আহসান হাবীবের মৃত্যু হয়েছে। কারণ তিনি কাজ করতে অভ্যস্ত ছিলেন না। রোদে কাজ করার পরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার হার্টের সমস্যা ছিল, তবে খুব বেশি না।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন-অর-রশিদ বলেন, আজ সকালে ওই স্কুলশিক্ষককে (আহসান হাবীব) মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। রোগীর স্বজনরা জানিয়েছেন আজ সকালে রোদের মধ্যে তিনি মাঠে কাজ করেছেন। স্বজনরা সন্দেহ করছেন, গরমে তার হিট স্ট্রোক হয়ে থাকতে পারে। তবে আমরা এখনো চূড়ান্ত রিপোর্ট পাইনি। জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের ধারণা, তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা যেতে পারেন।
খুলনা গেজেট/এমএম