যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি গ্রামে রিক্সাচালককে পিটিয়ে ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে আদর্শপাড়া কাজীর পুকুর এলাকায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত রিক্সাচালকের নাম আলম মন্ডল। তিনি দীর্ঘদিন হঠাৎপাড়া এলাকায় বসবাস করতেন। কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের শামসুদ্দিন মন্ডলের ছেলে। নিহত ব্যক্তি মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ এক যুববকে হেফাজতে নিয়েছে।
নিহতের স্ত্রী রোকসানা বেগম বলেন, আলম ২০ বছর ধরে যশোরের চুড়ামন কাটির হঠাৎ পাড়ায় বসবাস করছেন। সম্প্রতি তিনি তাদের এই এলাকায় নিয়ে আসে। শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে আলম চুড়ামনকাটি রেলস্টেশন এলাকায় দাড়িয়ে ছিলেন। এসময় একদল সন্ত্রাসী আলমকে অপহরণ করে আদর্শপাড়ার কাজীর পুকুর এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তাকে রড দিয়ে পিটিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দেয়। পরবর্তীতে তারা আলমের পায়ের রগ কেটে দেয়। পরে এলাকাবাসির মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে এলাকাবাসির মাধ্যমে জানা গেছে, এ ঘটনার সাথে জাড়িত সন্দেহে পুলিশ এক যুবককে হেফাজতে নিয়েছে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুর রশিদ বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের একাধিক চিহৃ ছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে সাজিয়ালী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সেলিম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পূর্ব শত্রুতার কারণে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে। কারা এর সাথে জড়িত সে বিষয়ে খোঁজ ও তাদের আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে একজনকে হেফাজতের বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।
খুলনা গেজেট/এসজেড