যশোর সদরের বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের নেতা সাব্বির আহমেদ রাসেল হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে মামলার অন্যতম আসামি হাসিব। যশোর ডিবি পুলিশের হাতে আটক হবার পর আদালতে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। হাসিব বালিয়া ভেকুটিয়া মাধবপাড়ার আকরাম আলীর ছেলে।
রবিবার ভোরে কেশবপুর উপজেলার বুড়িমারি গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। এরপর তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দীন হোসাইন তার জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ।
গত ১৫ এপ্রিল রাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হন বালিয়া ভেকুটিয়া শ্মশানপাড়ার আবু সালেক মৃধার ছেলে জেলা বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ রাসেল। এসময় তাকে রক্ষা করতে এসে গুরুতর জখম হন তার বড়ভাই আল আমিন।
এ হত্যার ঘটনায় নিহতের বাবা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবু সালেক মৃধা সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক শহিদুজ্জামান শহিদসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর মাসুম কাজী জানান, সাব্বির আহমেদ রাসেল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ১৮ নম্বর আসামি হাসিব। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার ভোর চারটার দিকে কেশবপুর উপজেলার বুড়িমারি গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। ওই গ্রামে তার দাদাবাড়ি। সেখানে সে আত্মগোপন করে ছিল।
আদালতে জবানবন্দিতে হাসিব জানায়, গত ১৫ এপ্রিল বিকেলে সেসহ একই এলাকার শামিরুল, আজাদ, সাগর, পিচ্চি বাবু ও শান্ত দুটি মোটরসাইকেলে করে বালিয়া ভেকুটিয়া শ্মশানপাড়ায় রাসেলের বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। এসময় রাসেল তাদেরকে মোটরসাইকেল আস্তে চালিয়ে যাওয়ার কথা বলায় তার সঙ্গে বিরোধ হয়। এরই জের ধরে পরে রাতে তারা ২৫-৩০ জন এসে তার ওপর চড়াও হয়। তাদের মধ্যে এনামুল নামে একজনের ধারালো অস্ত্রের কোপে নিহত হন রাসেল। এছাড়া গুরুতর আহত হন রাসেলের বড়ভাই আল আমিন।
খুলনা গেজেট / এমএম