খুলনা, বাংলাদেশ | ১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৬ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  প্রীতি ম্যাচ : মালদ্বীপকে ২-১ গোলে হারাল বাংলাদেশ, সিরিজ শেষ হলো ১-১ সামতায়
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৯৪
  আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, বাক স্বাধীনতার : ড. ইউনূস
  জুলাই-আগস্টে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশে সময় লাগবে : উপদেষ্টা আসিফ
বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল সারারাত

যশোরেও তান্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল, শহরে মানুষের উপস্থিতি কম

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরেও তান্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। রোববার রাতে প্রবল এ ঘূর্ণিঝড়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে গেছে ও ঘরবাড়ি ভেঙে মানুষের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সড়কের দুই পাশের সাইনবোর্ড ও বিলবোর্ড ভেঙে গেছে। এছাড়া, সারারাত শহর ও গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল বিচ্ছিন্ন।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বর্তমানে ঘূণিঝড়টি স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। নিম্নচাপের প্রভাবে যশোরাঞ্চলে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে ও বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা আবহাওয়া এমনই থাকবে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় রেমাল রোববার রাত ৮টা নাগাদ উপকূলে আঘাত হানার পর রাত ১২টার পর যশোরে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব শুরু হয়। এসময় প্রবল বেগে বাতাস বইতে থাকে ও সাথে ছিল বৃষ্টিপাত। মাঝে রাত ৩টা নাগাদ ১৫ মিনিটের বিরতি দিয়ে ফের শুরু হয় ঝড়ো হাওয়া। যা চলে ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। এতে যশোরসহ পাশ্ববর্তী এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। শহর ও আশেপাশের এলাকায় বিপুল সংখ্যক গাছপালা উপড়ে গেছে। সেইসাথে কিছু কাঁচা ঘরবাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কের দুই পাশের সাইনবোর্ড ও বিলবোর্ড ভেঙে গেছে। কিছু বিলবোর্ড ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে গেছে ও কিছু রাস্তায় পড়ে রয়েছে।

এছাড়া, রাত ১২টা নাগাদ ঝড়ের তান্ডব শুরু হলে কর্তৃপক্ষ ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে শহরে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়। এতে গোটা শহর অন্ধকারে ঢেকে যায়। ঝড় থেমে গেলে শহরের পরিস্থিতি জেনে কর্তৃপক্ষ সকাল ৬ টার পর বিদ্যুৎ চালু করে। গ্রামাঞ্চলেও বিদ্যুতের একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেখানে রোববার সন্ধ্যা ৬টার পর থেকেই বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল। যা দুপুর ২টা পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের বৃষ্টির কারণে সোমবার সকাল থেকেই শহরে মানুষের উপস্থিতি কম ছিল। এছাড়া শহরে রাত থেকেই বিদ্যুৎ না থাকায় ইজিবাইক ও অটো রিকশা-ভ্যানে চার্জ দিতে পারেনি চালকরা। ফলে এসব গাড়ি চলাচলও শহরে কম ছিল।

রোববার সন্ধ্যা থেকে যশোরে শুরু হয় বৃষ্টি। যা থেমে থেমে সকাল গড়িয়ে দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। ফলে জরুরি কাজ ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হননি। এছাড়া শহরে রাত থেকেই বিদ্যুৎ না থাকায় ইজিবাইক ও অটো রিকশা-ভ্যানে চার্জ দিতে পারেনি চালকরা। এ জটিলতায় শহরে ইজিবাইক ও অটো রিকশা চলাচল কম ছিল। এতে খানিকটা দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে রাস্তায় বের হওয়া মানুষকে। তারা গন্তব্যে পৌছাতে রিকশা বা ইজিবাইক পায়নি। তাদেরকে বৃষ্টিতে ভিজে পায়ে হেটেই গন্তব্যে পৌছাতে হয়েছে।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!