যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) গাড়ি চালক খলিলুর রহমানকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসনসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) যশোর সদরের শ্যামনগর গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের স্ত্রী জিনিয়া খাতুন বাদী হয়ে এ মামলা করেন। চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা জাহাঙ্গীর অভিযোগের তদন্ত করে সিআইডি পুলিশকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী রবিউল ইসলাম।
অভিযুক্তরা হলেন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক প্রফেসর ড. জাফিরুল ইসলাম, যানবাহন কর্মকর্তা হাসান আসকারী, নিরাপত্তা কর্মকর্তা মুন্সি মনিরুজ্জামান, ভাইস চ্যান্সেলরের পিএ আব্দুর রহমান।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মৃত খলিলুর রহমান যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত ডিসেম্বর মাসে খলিলুর রহমানকে ড্রাইভারের পদ বাতিল করে আসামিরা অফিসের পিয়ন হিসেবে কাজ করার নির্দেশ দেন। এতে তিনি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন এবং এ বিষয়ের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য খলিলুর রহমান গত ২৯ ডিসেম্বর দুপুরে ভাইস চ্যান্সেলরের সাথে দেখা করতে যান। এসময় আসামিরা বিষয়টি জানতে পেরে ভাইস চ্যান্সেলরের অফিসের সামনে গিয়ে তাকে বাধা দিয়ে প্রফেসর ড. জাফিরুল ইসলামের অফিসে নিয়ে ভয়ভীতি ও হুমকি-ধামকি এবং আহত্মহত্যা করার কথা বলে তাড়িয়ে দেন। আসামিদের এ অপমান সইতে না পেরে ওইদিন গভীর রাতে ঘরের বাইরে থেকে রুমে তালা লাগিয়ে বাড়ির উঠানে দাঁড়িয়ে গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এসময় বাড়ির লোকজনের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে তার গায়ের আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে দ্রুত যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
খুলনা গেজেট/এমএম