জাল যার জলা তার এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় প্রান্তিক মৎস্যজীবীদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে গণশুনানি।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা উত্তরণ বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এই গনশুনানির আয়োজন করে ।
উন্নয়ন সংস্থা উত্তরণের পরিচালক শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ব্যতিক্রম এই গণশুনানিতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে মৎস্যজীবীদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। এসময় তিনি মৎস্যজীবীদের সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য অফিসার আনিসুর রহমান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরা, অধ্যাপক আবু আহমেদ, সাংবাদিক কল্যান ব্যানার্জি, ভূমিমহীন নেতা এড. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের আয়োজকরা জানায়, সাতক্ষীরা জেলায় ২০ একর আয়তনের উর্দ্ধে জলমহলের সংখ্যা রয়েছে ৪০টি, যার মোট আয়তন ১৫৮৬.১৪ একর। আর ২০ একরের নীচে জলমহলের সংখ্যা ৩৪৯টি, যার মোট আয়তন ২৭৩৩.৩৭ একর।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, এসব জলমহলের একটি বড় অংশ যারা মৎস্যজীবী নয় তাদের দখলে। বিভিন্ন জাল কাগজপত্র তৈরী করে দীর্ঘদিন ধরে তারা ভোগদখল করছে।
মৎস্যজীবীদের দাবি, জেলায় সরকারি যে সব জলমহল রয়েছে সরকারি নীতীমালা অনুযায়ী তা প্রকৃত মৎস্যজীবীদের মধ্যেই বন্দোবস্ত দিতে হবে।
গনশুনানি অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরা জেলার ৭ উপজেলার শতাধিক প্রান্তিক মৎস্যজীবী অংশ গ্রহণ করেন।