পাঁচদিন আগ থেকে কাঁঠালের হাট বসছে নগরীর পাওয়ার হাউস মোড়ে। প্রতিদিন গড়ে ২৫০ পিচ কাঁঠাল আনছেন দুই ব্যবসায়ী। করোনা, দাবদাহ ও ইয়াসের কারণে ক্রেতা নেই কাঁঠালের হাটে। ফলে দুই দোকানির লোকসান হচ্ছে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ টাকা করে।
মধু মাসের নয় দিন পেরিয়েছে। এত আগে কাঁঠাল বাজারে ওঠার কথা নয়। অনাবৃষ্টির কারণে যশোরের বসুন্দিয়ার কাঁঠাল উঠেছে আগে ভাগেই। ব্যবসায়ীরা এ সুযোগ লুফে নিয়েছেন। ৫ দিনে তিন দফা চালানের বড় অংকের পুঁজি বিনিয়োগ করেছে। এখানে এ হাট বসবে শ্রাবণ মাস পর্যন্ত। প্রকার ভেদে প্রতি পিচ সর্বনিম্ন ৬০ টাকা থেকে ২ শত ৫০ টাকা পর্যন্ত।
৭ নং ঘাটের মোঃ মানিক মৃধা ১৫ হাজার টাকা ও স্টেশন রোড়ের বাসিন্দা মোঃ কামাল হোসেন ৪২ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছেন। মানিক মৃধা গত ৫ দিনে ২৪১ পিচ কাঠাল এনেছেন। প্রথম দিনে লোকসান হয়েছে ২ হাজার টাকা। কামাল হোসেন ৫ দিনে ৫০৩ পিচ কাঁঠাল এনেছেন। ৫ দিনে এ পর্যন্ত লোকসান হয়েছে ৮ হাজার টাকা।
কাঁঠাল বিক্রেতা মনির মৃধা, তিনি ফাস্টফুডের ব্যবসা করতেন। করোনার কারণে ব্যবসা বন্ধ হওয়ায় তিনি কাঁঠালের ব্যবসায় এসেছেন। বসুন্দিয়া থেকে কাঁঠাল এনে বিক্রি করছেন। দাবদাহ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইয়াসের কারণে এখানে ক্রেতাদের সমাগম কম। গরম কম হলে বেচাকেনা ভাল হবে বলে জানিয়েছেন।
কামাল হোসেন জানান, গত পাঁচ দিনে তিনি লাভের মুখ দেখেননি। কাঁঠাল এখনো সঠিকভাবে পরিপক্ক হয়নি। তিনি বাগান থেকে বেছে বেছে কাঁঠাল এনেছেন। গতবারের থেকে এবারের বিক্রি খুব কম। কাঁঠাল রসালো খাবার হলেও গরম, বর্তমান আবহাওয়ার কারণে তার কাঁঠাল বিক্রি কম। গত পাঁচ দিনে তিনি কোন লাভের মুখ দেখেনি।
খুলনা গেজেট/এনএম