ফিলিপে বোকা বনেছিলেন বল নীচু হওয়ায়। অ্যাশটন অ্যাগার ধরা পড়লেন মোস্তাফিজের বাড়তি বাউন্সে। বল অ্যাগারের গ্লাভসে লেগে গেছে উইকেটকিপার নুরুলের কাছে। গতির দারুণ পরিবর্তনে মোস্তাফিজ উইকেট নিলেন আরেকটি। পরপর দুই বলে দুটি উইকেট হল তাঁর। এদিন মোস্তাফিজ তিন উইকেট তুলে নিলেন।
মার্শ-হ্যানরিকস জুটি অস্বস্তিতে ফেলেছিল বাংলাদেশকে। ঠিক তখনই ত্রাতা হয়ে আসেন সাকিব ও শরীফুল। দ্রুত সেই জুটি ভেঙে দেন তারা। শরীফুলের বলে সোহানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরেন মার্শ। আজও ৪৫ রানে ফিরলেন মার্শ। অর্ধশতকের আক্ষেপ নিয়ে প্রথম ম্যাচে ৪৫ রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন মার্শ। ১৬.১ ওভারে দলীয় ৯৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
এরআগে ৩০ রান করা হ্যানরিকসকে বোল্ড করে ফেরালেন সাজঘরে ফেরান সাকিব আল হাসান। ১৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে স্লগ সুইপ খেলতে চেয়েছিলেন হ্যানরিকস, বল ব্যাট মিস করে তার শরীর স্পর্শ করে ভেঙে দেয় স্ট্যাম্প। ৩টি চার ও ১টি ছয়ে ২৫ বলে ৩০ রান করে হ্যানরিকস।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি সফরকারীদের। মাত্র ৩১ রানেই ২উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে সফরকারীরা। সেই অবস্থান থেকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন মিচেল মার্শ। প্রথম ম্যাচে তারই সর্বোচ্চ ৪৫ রান ছিল। আজও দলের হাল ধরেছেন। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন মইসেস হ্যানরিকস। দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম ১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৫৩ রান করে ম্যাথু ওয়েডের দল।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে মেহেদির বিপক্ষে ইনিংসের প্রথম ওভারে সাবধানী ব্যাটিং করে মাত্র এক রান স্কোরবোর্ডে যোগ করে অ্যালেক্স ক্যারি এবং জশ ফিলিপ জুটি। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে নাসুম আহমেদের বিপক্ষে অনেকটাই সাবলীল ছিলেন ক্যারি।
সুইপ-রিভার্স সুইপে রান বের করার চেষ্টা করেছেন ক্যারি, সফলও হয়েছেন। বাঁহাতি এই ওপেনারের জোড়া বাউন্ডারিসহ দ্বিতীয় ওভারে আসে ১০ রান। কিন্তু তৃতীয় ওভারে এসে যেন ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন ক্যারি।
স্পিনের বিপক্ষে খেলতে গিয়ে আগের ম্যাচে ৪ উইকেট নেয়া নাসুমের তালুবন্দি হন ক্যারি। ১১ বলে ১১ রান করে ফেরেন তিনি। আগের ম্যাচেও মেহেদির বলেই আউট হয়েছিলেন তিনি।
এরপর ফিলিপকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে আসেন এসেছেন মিচেল মার্শ। দুজন মিলে স্কোরবোর্ডে আরও ১৮ রান যোগ করলেও পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার ঠিক ২ বল আগে মুস্তাফিজুর রহমানের দারুণ এক স্লোয়ারে লেগ স্টাম্প উড়ে যায় ফিলিপের। ১৪ বলে ১০ রান করেন এই ওপেনার।
বাংলাদেশ একাদশ : সৌম্য সরকার, নাঈম শেখ, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), নুরুল হাসান সোহান, আফিফ হোসেন, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, শেখ মেহেদী, নাসুম আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান।
অস্ট্রেলিয়া একাদশ : অ্যালেক্স ক্যারি, জশ ফিলিপে, মিচেল মার্শ, মোয়াসেস হেনরিকস, ম্যাথু ওয়েড (অধিনায়ক), অ্যাস্টন টার্নার, অ্যাস্টন অ্যাগার, মিচেল স্টার্ক, অ্যান্ড্রু টাই, জস হ্যাজেলউড ও অ্যাডাম জাম্পা।